ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করেন। তার একদিন পরই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর শুক্রবার থেকেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। শুক্রবার থেকে এ জরুরি অবস্থা শুরু হলেও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে যে এই জরুরি অবস্থা তিন থেকে ছয় মাস থাকতে পারে।
এর আগেও ২০১৭ সালে রাজনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়া শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ১০ মাসের জরুরি অবস্থা জারি ছিল ইথিওপিয়ায়। এছাড়াও ইথিওপিয়ায় বৃহত্তর রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে ওরোমো ও আমহারা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ তারা। ওরোমো মিডিয়া নেটওয়ার্কের প্রধান জাওয়ার মোহাম্মদ এই জরুরি অবস্থাকে অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বলে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো পদক্ষেপ ব্যর্থ। ফিলিক্স হোর্ন নামে ইথিওপিয়ার একজন মানবাধিকার কর্মী টুইটারে লিখেছেন, গতবারের জরুরি অবস্থার সময় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়ছিল।
Be the first to comment