এ যেন পুরো বলিউডের সিনেমা। ভরপুর অ্যাকশনে ঠাসা। পুলিশের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে খুনের আসামীকে নিয়ে পালালো সাত দুষ্কৃতীর একটি দল। গত ৮ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদে।
পুলিশ জানিয়েছে, দাঁতে ব্যথা শুরু হয়েছিল মঞ্জিত মহল গ্যাং-এর সদস্য বিকাশ দালালের। তাই চেকআপের জন্য বিকাশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বি কে হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার সময়ই ঘটল বিপত্তি। হাতে সাতটি পিস্তল নিয়ে তিনটি গাড়িতে করে এসে পুলিশের রাস্তা আটকায় সাতজন দুষ্কৃতী। আর তারপর মুহূর্তের মধ্যে পুলিশের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে চম্পট দেয় বিকাশ দালালকে নিয়ে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিকাশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ এবং বাকি ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও ফেরার রয়েছে বিকাশ দালাল। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নিমকা জেলে বন্দি ছিল সন্দীপ এবং বিকাশ। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের অপরাধে সন্দীপের ২০ বছর জেলের সাজা হয়েছিল। অন্যদিকে বিকাশও ছিল খুনেরই আসামী। তবে খুন ছাড়াও লুঠপাট এবং ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছিল সন্দীপ। সম্ভবত তার আগে থেকেই ছক কষেছিল তাঁরা। কীভাবে বিকাশকে পুলিশের কবল থেকে বের করবে তার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়েছিল বহু আগেই। এমনটাই অনুমান করছেন ডিসিপি (ক্রাইম) লোকেন্দ্র সিং।
ধৃত সন্দীপকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন কোন কাজ কে করবে তা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। কে গুলি চালাবে, কে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটাবে, কে গাড়ি চালাবে সবই প্ল্যান হয়ে গিয়েছিল আগেই। আর গোটা প্ল্যানে সন্দীপ ছিল মাস্টারমাইন্ড। আর বাকি ছয়জন ছিল তার শাগরেদ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি গাড়ি এনেছিল দুষ্কৃতীরা। ওই গাড়ি এবং বেআইনি পিস্তলগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পলাতক বিকাশের খোঁজে আপাতত তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। বিকাশের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার গ্যাং মঞ্জিত মহলের লোকজনকেও। ফরিদাবাদের আশেপাশের বেশ কিছু জেলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বিকাশের নামে ওয়ারেন্টও জারি করেছে পুলিশ।
Be the first to comment