নতুন করে অভিযানে নেমেছেন কৃষকেরা। আর তা নিয়ে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমানায়।আন্দোলন আটকাতে মরিয়া হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের সরকার। কৃষকদের বিক্ষোভ রুখে দিতে পুলিশের প্রচুর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পিছিয়ে নেই আন্দোলনকারী কৃষকেরাও। দিল্লির অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে শম্ভু সীমান্তে ‘মানববন্ধন’ তৈরি করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। সীমানার এক দিকে কৃষকদের লরি এবং ট্র্যাক্টরের লাইন। অন্য দিকে, সারিবদ্ধ হরিয়ানা পুলিশের বাহিনী। প্রতিবাদী কৃষকেরা তাঁদের ট্যাক্ট্রর দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হরিয়ানায় প্রবেশ করে যেতে পারেন, এই উদ্বেগ থেকে পুলিশ মোটা কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে।
আন্দোলনের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিয়ানার পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে দিল্লির পুলিশ-প্রশাসনও। রাজধানী দিল্লিকে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমানায় কাঁটাতার, পেরেক, সিমেন্ট এবং পাথরের দেয়াল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। জলকামান এবং লাঠি নিয়েও তৈরি দিল্লি এবং হরিয়ানার পুলিশ। কৃষকদের আটকাতে দিল্লি সীমানায় ‘লং-রেঞ্জ অ্যাকোস্টিক ডিভাইস’ও বসানো হয়েছে। যার কাজ অসহনীয় শব্দ তৈরি করা এবং কৃষকদের পিছু হটতে বাধ্য করা। দিল্লি পুলিশের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। লাল কেল্লা এবং ইন্ডিয়া গেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক শম্ভু সীমানা পার হতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। নামানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। কিছুতেই সীমানা পেরিয়ে কৃষকদের রাজধানীতে ঢুকতে দিতে নারাজ পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। অন্য দিকে, কৃষকেরা ট্র্যাক্টরগুলিকে ‘অস্থায়ী ট্যাঙ্ক’-এ পরিণত করে এগিয়ে যাচ্ছেন সীমানার দিকে।
Be the first to comment