গুরুনানকের জন্মবার্ষিকীতে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি এবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরবেন আন্দোলনরত কৃষকরা? এবার এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সামনে এল। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষকরা।
১৫ জানুয়ারি সামগ্রিক প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি বৈঠক করবেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। যদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে সেক্ষেত্রে বিক্ষোভের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, জানিয়েছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার কৃষক নেতা গুরনাম সিং। সিংঘু সীমানা আন্দোলনরত কৃষকরা ১১ ডিসেম্বর আন্দোলনস্থল খালি করে দেবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা দর্শন পাল সিং।
কৃষক নেতা গুরনাম সিং বলেন, ‘কেন্দ্র আমাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আপাতত আমরা আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে সংযুক্ত কিষান মোর্চা একটি রিভিউ মিটিং করবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ১১ ডিসেম্বর সিংঘু সীমানা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা। ১৩ ডিসেম্বর পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে যাবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সরকারের তরফে বিক্ষোভরত কৃষকদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, MSP অর্থাৎ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়াও কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মঙ্গলবার সিংঘু -হরিয়ানায় কৃষকরা একটি বৈঠক করেন। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আমাদের তরফেই হয়তো কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে যে আমরা সব কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। কিন্তু, আজ পবিত্র মন থেকে বলছি, যা করেছিলাম কৃষকদের জন্য করেছি। যা করছি কৃষকদের জন্য করছি। প্রাকৃতিকভাবে চাষাবাদ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। যেখানে থাকবেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা, কৃষি বিজ্ঞানীরা এবং কৃষকরা। আমাদের সরকার কৃষকদের জন্য কাজ করে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ক্ষুদ্র কৃষক। তাঁদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের থেকেও কম। কৃষকরা যাতে পরিশ্রমের বদলে পারিশ্রমিক পায় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তাভাবনা সবসময় করেছে সরকার। কৃষকদের সার্বিক উন্নতির কথা ভেবে ৩টি আইন আনা হয়েছিল। বহু ভাবনা চিন্তার পর এই আইন আনা হয়েছিল। দেশের বহু কৃষক সংগঠন, কোটি কোটি কৃষক এই আইনকে সমর্থন করেছে। সম্পূর্ণ পবিত্র চিন্তাভাবনা থেকে এই আইন নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। হয়তো আমাদের তরফেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে। আজ গুরু নানকের আবির্ভাব দিবসে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলাম।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ক্ষুদ্র কৃষক। তাঁদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের থেকেও কম। কৃষকরা যাতে পরিশ্রমের বদলে পারিশ্রমিক পায় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তাভাবনা সবসময় করেছে সরকার। কৃষকদের সার্বিক উন্নতির কথা ভেবে ৩টি আইন আনা হয়েছিল। বহু ভাবনা চিন্তার পর এই আইন আনা হয়েছিল। দেশের বহু কৃষক সংগঠন, কোটি কোটি কৃষক এই আইনকে সমর্থন করেছে। সম্পূর্ণ পবিত্র চিন্তাভাবনা থেকে এই আইন নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। হয়তো আমাদের তরফেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে। আজ গুরু নানকের আবির্ভাব দিবসে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলাম।’
Be the first to comment