মহারাষ্ট্রে ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনেতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শিব সেনা বারবার ৫০:৫০ ফর্মুলার উপর জোর দিচ্ছে। আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রী হবে ফড়নবিশ এবং আদিত্য ঠাকরে, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছে। এই জল্পনার মধ্যেই শিব সেনার সব দাবি উড়িয়ে দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। জানালেন তিনিই হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে আমি মুখ্যমন্ত্রী হব। আর কোনও প্ল্যান B বা প্ল্যান C নেই। একটাই প্ল্যান A আছে।
শনিবারেই উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেন, আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি তাঁকে লিখিত দিতে হবে, যা নিয়ে ফড়নবিশ কটাক্ষ করেছিলেন। তবে এবারে শিব সেনার এই সংসদের কথায় দুই দলের মধ্যের তরজা যে চরমে গিয়েছে তা বলাই যায়। অর্থাৎ নির্বাচনের পরে আসন কমলেও বাঘের গর্জন যে কমছে না তা একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন ২০১৪ সালের তুলনায় এবারে তারা কম আসন পেয়েছেন বটে তবে ক্ষমতার রিমোট থাকবে তাদের হাতেই। একটি কার্টুনে দেখা গিয়েছে বাঘের হাতে পদ্ম রয়েছে। অর্থাৎ এই কার্টুন থেকে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিবসেনা তাদের দাবি থেকে সরবে না আর সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে বিজেপিকে তাদের দাবি মানতে হবে। বিজেপির ১৬৪ টি সিটের মধ্যে ১৪৪টিতে জেতার স্বপ্ন মানুষ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দুই দলের ভিতরের উত্তেজনা যে চরমে পৌঁছেছে তা আন্দাজ করাই যায়। এছাড়াও ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত শিবসেনা ও বিজেপি জোট সরকার ছিল।
কিন্তু সেই সময়ের পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির মিল নেই। গতবারের তুলনায় এবারে কম আসনে জিতেছে শিবসেনা। আর তাই বিজেপির কাছে গুরুত্ব কমেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিবসেনা যে ভাবনা চিন্তা করেই সামনে পা ফেলছে তা এক প্রকার পরিষ্কার।
Be the first to comment