পথ দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি কাটা গেছিল নীলোৎপল চক্রবর্তীর । তাই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি কাটা আঙুলটি। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নীলোৎপলের স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, বুধবার বাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে অফিসে যাচ্ছিলেন সাঁকরাইল থানা এলাকার বাসিন্দা নীলোৎপল। তিনি পেশায় কেমিকেল ইঞ্জিনিয়র। তাঁর স্ত্রী চয়নিকা জানান, দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি পৃথক হয়ে যায়। কাটা আঙুল নিয়ে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু, সেখানে আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানো সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসক ।
এরপর গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই হাসপাতালে নীলোৎপলকে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করা হবে । কিন্তু, এত দেরিতে অস্ত্রোপচার করলে আঙুলের কাটা অংশ জোড়া লাগানো সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিজনরা। চয়নিকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । সেজন্য দু-একটি উদাহরণ দেওয়া হয় । তারপর আমরা আশ্বস্ত হই । সংরক্ষণের জন্য আঙুলের কাটা অংশটি এমারজেন্সিতে জমা নেওয়া হয় ।
কিন্তু, আজ সকালে জানা যায় আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । নীলোৎপলের স্ত্রী বলেন, “আজ সকাল দশটা নাগাদ আমরা জানতে পারি আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । শেষপর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি বেলা ১২ টার পর আমাদের জানান আঙুলের কাটা অংশটি হারিয়ে গেছে । আঙুলের কাটা অংশ ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হয় । চয়নিকা বলেন, “এই ঘটনায় আমার স্বামী সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলে । পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে ।” দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি ।
Be the first to comment