অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে উল্টোডাঙা থানায় দায়ের হল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। তাঁর বক্তব্য, গত নভেম্বর মাসে অপর্ণা সেন বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো যে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন, তা তিনি প্রত্যাহারও করেননি বা ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছেন কল্যাণ চৌবে। এই মর্মে উল্টোডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ কমিশনার ও ডিসি ইএসডিকেও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা।
অপর্ণার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো যে গুরুতর অভিযোগ অভিনেত্রী এনেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। অপর্ণার বিরুদ্ধে পুলিশ যাতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় সেই দাবি রাখা হয়েছে অভিযোগপত্রে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি নেতা।
উল্লেখ্য, ১৬ নভেম্বর একটি সাংবাদিক বৈঠকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছিলেন অপর্ণা সেন। অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পর তাঁকে চিঠি পাঠান বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। সেই চিঠিতে মন্তব্য প্রত্যাহার বা ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। অথচ, মন্তব্যের ৬০ দিন পরেও কোনও জবাব না দেওয়ায় অপর্ণার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করলেন কল্যাণ চৌবে। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো প্রসঙ্গে অপর্ণা সেন বলেছিলেন, “যে বিএসএফ আছে, তা কি যথেষ্ট নয়। কীভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।” সেই সময় থেকেই অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে কার্যত খড়্গহস্ত বিজেপি। এর আগে দিলীপ ঘোষও তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছিলেন। বক্রোক্তি করে বলেছিলেন, “ওঁরা চিরদিন দেশদ্রোহী।”
অপর্ণা সেনকে এক হাত নিয়ে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। অপর্ণার মন্তব্য প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।”
Be the first to comment