বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এর জেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু কালীঘাট থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭ এবং ২৮৩ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সুকান্ত ছাড়া ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিকে তিন বিজেপি সাংসদের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মমতার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দলীয় কর্মীর দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপি নেতা মানস সাহার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজনা তৈরি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বাকি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন বিক্ষোভ দেখানোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে বিজেপি কর্মীরা। হঠাৎ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া গাড়ির সামনে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। পরে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে তুলে নিয়ে যায়। মৃত বিজেপি নেতা মানস সাহা বিধানসভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। ফল প্রকাশের দিন তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন তিনি। বুধবার ঠাকুরপুকুরের নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। সরব হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও। এবার সেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মামলায় নিজের নাম জড়ালের বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
Be the first to comment