রোজদিন ডেস্ক :- কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশকে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভিনরাজ্য থেকে সংগঠিত হওয়া অপরাধ নিয়েও পুলিশকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কসবা শুটআউট কাণ্ডে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ বলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার, বিহারের কালচার, আহমেদাবাদের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলা সত্ত্বেও এত অস্ত্র আসছে কীভাবে! এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমাদের কাউন্সিলরের যদি প্রাণ যেত, তাঁর পরিবারের ক্ষতি হত, আমাদের দলের ক্ষতি হত। তাই পুলিশকে বলব ‘অ্যাক্ট নাও’। ইন্টেলিজেন্স কোথায়, নেটওয়ার্ক কোথায়? বলছে মুঙ্গের থেকে নাকি অস্ত্র আসছে। তাহলে সেটা আটকানো যাচ্ছে না কেন?’
ভিনরাজ্য থেকে আসা দুষ্কৃতীদের নিয়ে এদিন কড়া ভাষায় পুলিশকে সতর্ক করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্রিমিনাল বাইরের। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সতর্ক করেছেন, বাইরের রাজ্য থেকে যেন দুষ্কৃতীরা না ঢুকতে পারে। সীমানাগুলোয় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকছে তারা? পুলিশকে বলছি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করো। যদি জল জমে তাহলে তো আমাকে ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনই বাইরে থেকে অস্ত্র এলে সেটা আটকানো তো পুলিশের দায়িত্ব। জল জমলে তো সেটা পুলিশকে গিয়ে লোকে বলবে না। তেমনই অস্ত্র এলে সেটা তো আটকানো পুলিশের কাজ।’ তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘আমি সুশান্তর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবো।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলের অদূরে নিজের বাড়ির বাইরে বসেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ওই সময়ই তিনি তাঁর সঙ্গে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ছুটি দিয়ে দেন। তার ১০ মিনিট পরেই বাইকে করে হেলমেট পরিহিত দুই যুবক হাজির হয়। বাইক থেকে নেমে একজন একেবারে সুশান্তর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। তবে কোনও কারণে বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় দু’বার চেষ্টা করেও গুলি করতে ব্যর্থ হয় ওই যুবক। এরপরই তাকে পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলেন সুশান্ত-সহ অন্যরা। এরপরই হামলার এই ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Be the first to comment