পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরির জন্য ক্লাস্টার তৈরিতে ৯০ শতাংশ খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার, নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু না জানানো হলেও বৈঠকে অংশ নেওয়া বাজি প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি’র চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, সারা রাজ্যে ১৮টি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। ১৫টি ইউনিট নিয়ে ৬ একর জমির উপরে একটি ক্লাস্টার তৈরিতে খরচ হবে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। বাকি অর্থ ক্লাস্টারের ইউনিটগুলিকে বহন করতে হবে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ছাড়াও ৭০টি বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ক্লাস্টার তৈরির জন্য বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। কেউ ব্যক্তিগত জমিতে ক্লাস্টার করতে চাইলে রাজ্য সরকার তার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থাও করবে। এছাড়াও বাজি বিক্রির জন্য শিলিগুড়ি ও কলকাতায় দুটি হাব তৈরি করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুমাসের মধ্যে এই ক্লাস্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। পাশাপাশি, বাজি তৈরির জন্য এতদিন বিভিন্ন দফতর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যে লাইসেন্স পাওয়া যেত সেই নিয়ম সরলীকরণ করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের দফতরে আবেদন করে সেখান থেকেই লাইসেন্স মিলবে বলে জানান হয়েছে। তবে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট NEERI- র শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বৈঠকে বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্যরাজ্যে শব্দবাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে যে ১২০ ডেসিবেলের নিয়ম রয়েছে এই রাজ্যেও তা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।
Be the first to comment