তখনও দিনের আলো ফোটেনি। ভোর তখন ৫ টা। জেগে ওঠেনি শহর কলকাতা। হঠাৎ নারকেল ডাঙার ক্যানেল ইস্ট রোডের ছাগলপট্টিতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে ঝুপড়ির কয়েকটি ঘর। আগুন ছড়িয়ে পড়ে সামনের বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারে। সেটি ব্যাপক শব্দে বিস্ফোরণ হয় । তার জেরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৫০টি ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। যদিও দমকলের ৯টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল সূত্রে খবর, এই ঝুপড়ির পাশেই নারকেলডাঙা থানা। ফলে, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। তারা দ্রুত দমকলে খবর দেয়। প্রথমে মানিকতলা ফায়ার স্টেশনের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আসে। পরে ক্যানাল ওয়েস্ট রোড ফায়ার স্টেশনের ইঞ্জিনও পৌঁছায়। ঝুপড়িতে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে আগুন। যদিও ঝুপড়ির সবকটি ঘর থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ফলে, কেউ হতাহত হয়নি।
কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে ঝুপড়ির মানুষজন বাসনপত্র থেকে শুরু করে, ঘরে মজুত থাকা চাল-ডাল কিছুই বের করতে পারেনি। নাসিমা বিবি জানান, সামনেই তাঁর মেয়ের বিয়ে। সেই কারণে যৎসামান্য গয়না কিনে রেখেছিলেন। আগুন পুড়ে গেছে সেটুকুও। সকাল সাতটা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও, কী কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং দমকল।
Be the first to comment