শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিকেলেই আলিপুরে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল কলকাতার পরবর্তী মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন অতীন ঘোষ। পুরসভায় তৃণমূলের ব্যাপক গরিষ্ঠতা থাকায় মেয়র পদের নির্বাচন তাই ছিল খানিকটা নিয়ম রক্ষার। এ দিন হলও তাই।
ফিরহাদের জয় প্রত্যাশিত হলেও রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়েছিল বিজেপি। হার নিশ্চিত জেনেও মীনাদেবী পুরোহিতকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। কলকাতা কর্পোরেশনে বিজেপি-র প্রতিনিধি সংখ্যা পাঁচ। এ দিন ভোট শুরুর আগে মীনাদেবী বলেন, “যদি আমরা পাঁচের থেকে একটি ভোটও বেশি পাই, তাহলে সেটাই হবে আমাদের নৈতিক জয়।” রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল সে দিকেই। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সেই আশায় জল পড়ে গেল। পাঁচটিই ভোট পেলেন মীনাদেবী। হল না কোনও ক্রস ভোটিং। বাম এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা ওয়াক আউট করায় লড়াই ছিল ১২১ বনাম পাঁচের।
১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রয়াত হয়েছেন বছর দুয়েক আগে। সামনেই ওই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। সেটি বাদ দিলে তৃণমূলের সংখ্যা ছিল ১২২। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য চেন্নাইতে চিকিৎসাধীন। তাই তিনি এ দিন আসতে পারেননি ভোট দিতে। বাকি ১২১ জন কাউন্সিলরের ভোটই পেয়েছেন ফিরহাদ। রবিবার রাতে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন ফিরহাদ। আবেদন জানিয়েছিলেন ভোট দিতে আসার। এ দিন ভোট দিতে এসেছিলেন তিনিও। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজধানীর পৌর প্রশাসনের মেয়র নির্বাচনে বিজেপি যদি পাঁচের বদলে ছ’টিও ভোট পেত তাহলে সেটাই হতো শাসক দলের পক্ষে বিপর্যয়। কিন্তু তা হতেই দিল না তৃণমূল।
যেহেতু ফিরহাদ কাউন্সিলর নন তাই তিনি ভোটে ছিলেন না। ছিলেন রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে। বিকেলে তিনি কর্পোরেশনে আসবেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়।
Be the first to comment