কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী নিরাপদ পানীয় জলের তালিকায় অনেক পিছিয়ে কলকাতা ও দিল্লির কলের জল। এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হবে বলে জানালেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন, কী করে পৌরনিগমের সঙ্গে আলোচনা না করে ওই সংস্থা জলের নমুনা সংগ্রহ করলো? আর কোথা থেকেই বা ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে?
বিওরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স (BIS) দেশের ২১টি শহরের কলের জলের নমুনা পরীক্ষা করে একটি রিপোর্ট তেরি করে। কেন্দ্রীয় ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বইয়ের কলের জল পানীয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য সবথেকে নিরাপদ। মুম্বইয়ের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। অন্যদিকে এই তালিকা অনুযায়ী পানের জন্য সবথেকে বেশি অযোগ্য দিল্লি ও কলকাতার কলের জল।
কেন্দ্রীয় সংস্থার এই রিপোর্টের বিরোধিতা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, আমাদের কলকাতা পৌরনিগমের যে জল শোধনাগার কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেগুলির ভালোমতো পরিচর্যা করা হয়। এক্ষেত্রে সবরকম মাণদণ্ড মেনে চলা হয়। ল্যাবরেটরিতে ভালো জলের যে ক্লাসিফিকেশনগুলো রয়েছে সেগুলির সঙ্গে মিলিয়ে তারপর জল ছাড়া হয়। সুতরাং যেখান থেকে তারা জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটা জানাতে হবে। আর আমাদের না জানিয়ে কী করে জলের নমুনা সংগ্রহ করল সেটাও জানাতে হবে। আমরা এটা নিয়ে ওই সংস্থাকে প্রতিবাদপত্র পাঠাচ্ছি।
Be the first to comment