কলকাতায় কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবক হলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন বেলেঘাটার বিপ্লব জস। শেষ ধাপের ট্রায়াল চলছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন-এর। আর তারই অঙ্গ হিসেবে কলকাতায় এসেছে এই ভ্যাকসিনের ১ হাজার টিকা। এই টিকার কলকাতায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্যে আহ্বান জানানো হয়েছিল কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এদিন তিনি নাইসেডে গিয়ে সেই টিকা নিলেন।
বিকেল চারটে নাগাদ নাইসেডে পৌঁছন ফিরহাদ। তারপর তাঁকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা। তাঁর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয়। এরপর টিকা দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর আধঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী। বুধবার তাঁকে প্রথম ডোজটি দেওয়া হল, ২৮ দিন পর আবার তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তারপর এক বছর তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার সামান্য সমস্যা হলেও কোনও ব্যাপার না। এমনকী মানুষের জন্যে আমার যদি প্রাণও যায়, তাতেও কিছু যায় না আমার।’ এর আগেও ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, ‘করোনাভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাই এর সমাধানসূত্র বের করতে গিয়ে যদি আমাকে প্রাণও দিতে হয়, আমি তাতেও রাজি। মানুষকে এভাবেও তো সেবা করা যায়।’ চিকিৎসকরা আগেও তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেছিলেন। ফিরহাদের কোনও কোমর্বিডিটি ছিল না। পেটের সামান্য সমস্যা ছাড়া হার্ট, ফুসফুসের মতো অঙ্গও একেবারে স্বাভাবিক হয়েছে।
Be the first to comment