তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কয়লাকাণ্ডে সিবিআই সাক্ষী হিসেবে জেরা করার জন্য নোটিশ দিয়েছে। এই ঘটনাকে অন্যায় বলে সমলোচনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “আমরা রাজনীতি করি। তার মধ্যে বাড়ির মহিলাদের টেনে আনি না। কিন্তু এখন বাড়ির মহিলাদের টেনে আনা হচ্ছে, যেটা উচিত নয়। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। এর আগের নির্বাচনের সারদা , নারদের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল । সেটা তারপর থমকে। তাতে যাদের নাম ছিল তার একদল এখন বিজেপিতে চলে গেছে।আমি বলছি বিজেপি বাপের ব্যাটা হলে রাজনৈতিকভাবে লড়ে দেখাক। এসব অন্যায় হচ্ছে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে নিজেকে স্বচ্ছ বলে দাবি করেন তাতে বোঝাই যায় তিনি নিশ্চই প্রমাণ হাতে নিয়েই নিজেকে স্বচ্ছ বলে দাবি করছেন। সেখানে তাঁর স্ত্রীর নাম কয়লাকাণ্ডে সাক্ষী হিসেবে জেরার নোটিশ তাঁকে ও তৃণমূলকে সঙ্কটে ফেলেছে।
তবে তৃণমূলের তরফে যে ভাবে সিবিআই নোটিশকে চক্রান্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে তাতে রাজ্য রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠছে। তারা বলছেন দেশের আদর্শ নাগরিক হিসেবে দাবি করে ট্যুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি দাবি করেছেন দেশের আইনের ওপর তাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তাহলে কী কারণে তৃণমূলের তরফে সিবিআই নোটিশকে চক্রান্ত বলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ফিরহাদ হাকিম এদিন তাঁর কথায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে না পেরে এখন তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিজেপি উঠেপড়ে লেগেছে। ফিরহাদ হাকিম তাঁর বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বোঝাতে চাইছেন বিজেপি এখন রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে না পেরে সিবিআই লাগিয়ে ফায়দা তুলতে চাচ্ছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এক দিকে তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, দেশের আইনের ওপর তাঁর ভরসা আছে। আবার পাশাপাশি তিনি তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন , কেউ যদি মনে করে এভাবে তাদের ভয় দেখানো যাবে তাহলে তারা ভুল ভাবছেন।
আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই তৃণমূলের প্রধান মুখ এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি তাঁর নামেই কোনও অভিযোগ ওঠে তাহলে সেটা দলের পক্ষে অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আবার যেখানে এবারের বিধানসভা নির্বাচন অন্য বারের তুলনায় তৃণমূলের কাছে কঠিন, তাই এই সিবিআই নোটিশ তৃণমূল নেতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Be the first to comment