শহর থেকে জেলা—বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে সর্বত্রই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎবন্টন সংস্থা সিইএসসি এবং কলকাতা কর্পোরেশনকে হুঁশিয়ারি দিলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আজ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি ছাড়ব না’। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে চেতলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এই মন্তব্যই করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে দুই দফতর।
বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মানুষ মারা যাওয়ায় বিজেপি পথে নেমে পড়েছে। নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাই এদিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুলতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বিভিন্ন জায়গায় খোলা তার পড়ে রয়েছে। আমি সিইএসসি এবং কেএমসি’র কমিশনারকে বলেছি, কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি ছাড়ব না। খোলা তারের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত চারদিনে ১৩ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আসন্ন বৃষ্টির জন্য পুরসভা পুরোপুরি তৈরি রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ওয়াটার লগিং হতেই পারে। শুধু আমাদের এখানে নয়, বম্বে, দিল্লি, আহমেদাবাদ, কলকাতা, মাদ্রাজ—সব জায়গাতেই জল জমে। কিন্তু বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে হবে।’ এই নিয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
Be the first to comment