
রোজদিন ডেস্ক : চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তারউপর রোগীর পরিবারের সকল সদস্যদের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। শুক্রবার রাতে ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের বিজোনের শোভাপুরের কাছে বেসরকারি একটি হাসপাতালে। আচমকা রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন পিস্তল উঁচিয়ে শূন্যে পরপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকাল থেকে। বাসুদেব পাল নামে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অঙ্গদপুর এলাকার এক বাসিন্দা বাইক থেকে পড়ে গিয়ে জখম হন। প্রথমে তাঁকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি বছর ৬৮-র বাসুদেব পালকে শোভাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বাসুদেববাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা ঠিকমতো করা হচ্ছিল না। সেইমতো তাঁরা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও তত্ত্বাবধানে থাকে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর আত্মীয়দের দাবি মেনে দু’জনকে অনুমতি দেয় কথা বলার জন্য। কিন্তু রোগীর পরিবারের দাবি ছিল, সবাইকে দেখা করতে দিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে। এনিয়ে দফায় দফায় তারা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। শেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। পুলিশ রোগীর আত্মীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করে। সেই সময়, আচমকাই রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে থাকা একজন হাসপাতাল চৌহদ্দির মধ্যে শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি গুলি চলেছে তিন রাউন্ড। সেই সময় হাসপাতালে থাকা এক পুলিশ কর্মীকেও হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। তড়িঘড়ি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি সুবীর রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী হাসপাতালে পৌঁছায়। রোগীর ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে সেটার লাইসেন্স আছে কিনা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Be the first to comment