কোনও কোনও খেলোয়াড় ভাবেন শারীরিক ব্যায়াম, ডায়েট, নিরন্তর প্র্যাকটিসেই আসে বিশ্বকাপের সাফল্য। আবার অনেকের মতে, লাকি অন্তর্বাসই সাফল্য এনে দেয়। কোচ আর খেলোয়াড়দের অনেকেই বিশ্বাস করেন তুকতাক আর সংস্কারেই ভাগ্য খুলে যাবে তাঁদের। যেমন কলোম্বিয়ার গোলকিপার রেনে হিগুইতা বরাবর নীল অন্তর্বাস পরে মাঠে নামতেন। ম্যাচের আগে শৌচাগারের একদম বাঁ দিকের ইউরিনালটি ব্যবহার করেন জার্মান স্ট্রাইকার মারিও গোমেজ। গোমেজের টিমমেট জুলিয়ান ড্রাক্সলার খেলার আগে ভালো করে সেন্ট মেখে নেন।
সকার টাফ বইয়ের লেখক ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী ড্যান আব্রাহামস বলছেন, ম্যাচের দিন এতকিছু খেলোয়াড়দের নাগালের বাইরে থাকে যে তাঁরা অনেকেই ঝুঁকে পড়েন তুকতাকের দিকেই। যুক্তি দিয়ে দেখলে, এর কোনও প্রভাব তাঁদের পারফর্মেন্সের ওপর পড়ে না। ইংল্যান্ডের ডেল আলি ১১ বছর বয়স থেকে যেটা পরে আসছেন সেই শিনগার্ডই ব্যবহার করেন আজও। ওই দলেরই ফিল জোনস মাঠে সাদা লাইনে পা দিতে চান না একেবারেই। ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মার্সেলো সবসময়ই মাঠে নামেন ডান পা বাড়িয়ে। এতটাই তাঁর সংস্কার যে রোস্তভ অন ডনে তিনি মাঠে নেমেও ফিরে আসেন। ভুল করে বাঁ পা আগে পড়ে গিয়েছিল।
২০১২ সালে জাম্বিয়াকে অভাবিতভাবে হারানোর পর থেকে মরোক্কোর কোচ হার্ভে রেনার্ড সাদা শার্ট পরেই মাঠে আসেন। রাশিয়াতেও পরেছেন। তবে এবার তুক কাজে লাগেনি। ফ্রান্সের স্থির বিশ্বাস, ১৯৯৮ সালে তাদের বিশ্বকাপ জয়ের মূলে ছিল গোলকিপার ফাবিয়েন বার্থেজের ন্যাড়া মাথায় টিমমেটদের হাত ঘষে দেওয়ার সংস্কার। ডিফেন্ডার লরাঁ ব্ল্যাঙ্ক প্রতি ম্যাচের আগে ফাবিয়েনের ন্যাড়া মাথায় চুমু খেতেন সৌভাগ্যের জন্য। আর্জেন্টিনার মারিও কেম্পেসের বিশ্বাস ছিল, তাঁর কপাল খুলেছে গোঁফ কামিয়ে।
Be the first to comment