পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জুনের ২৩ তারিখ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বসছে রাশিয়া-ভারত-চিন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব নিশ্চিত করেছেন, দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই এবং রাশিয়ার মন্ত্রী সেরগেই লাভরভ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের জন্য বৈঠক ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
৪৫ বছর পরে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গোটা বিশ্ব যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে। সীমান্তে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। যার মধ্যে একজন আর্মি অফিসার ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের দেহ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকায় মোতায়েন করা আর্মি ইউনিটের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
৪৫ বছর পরে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গোটা বিশ্ব যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে। সীমান্তে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। যার মধ্যে একজন আর্মি অফিসার ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের দেহ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকায় মোতায়েন করা আর্মি ইউনিটের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রত্যেক ঘণ্টায় ৩ জন ডিভিশনাল কমান্ডারের সঙ্গে কথা হচ্ছে লে কর্পস কমান্ডারের। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে চিন আরও বেশি করে আলোচনার দাবি জানিয়েছে।
তিনটি পয়েন্টে বিশেষত আর্মি ইউনিটের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ প্যাংগং লেকের ধারে পরিস্থিতি উত্তেজনাময়। গত ৪০ দিনে একাধিকবার ভারত ও চিনের সেনা ওই পয়েন্টে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আগেই চিনা বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে ছিল সোমবার নাকি পর পর দুবার সীমান্ত পার করে চিনের দিকে ঢোকার চেষ্টা করে ভারতীয় সেনা। চিনের সেনাবাহিনীকে উত্যক্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, চিনের বাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয় বলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়। বারবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর এহেন উস্কানির জবাব শুধুমাত্র তারা দিয়েছে বলে দাবি লাল চিনের।
গত দেড় মাস ধরে সংঘাত চলছে ভারত-চিন সীমান্তে। একের পর এক বৈঠকেও কোনও সমাধান মেলেনি। বুধবার ঝাও বলেন ভারতীয় সেনার বাড়বাড়ন্তের জন্যই সংঘর্ষ। তবে চিন আর কোনও সংঘর্ষে যেতে চাইছে না। চিনের বিদেশমন্ত্রকের পরামর্শ, ভারতীয় সেনা যেন নিজেদের সীমান্তের মধ্যেই অবস্থান করে। যে সদর্থক আলোচনার পরিবেশ গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে, তা নষ্ট করা কাম্য নয়।
নয়াদিল্লির উচিত নিজের সেনাকে উস্কানিমূলক কাজ থেকে বিরত রাখা। গোটা দায়ভার ভারতের ওপর চাপালেও, চিনা সেনা যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে ঢুকে এসেছিল, সেকথা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। তাঁদের দেওয়া বক্তব্যে এই অংশ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
Be the first to comment