প্রয়াত হলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন, শোক প্রকাশ মোদির

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রয়াত হলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন। শুক্রবার তাঁর বেঙ্গালুরুর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইসরোর বিবৃতি অনুযায়ী, কস্তুরীরঙ্গন সকাল ১০.৪৩ টায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাধারণ মানুষদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রাখা হবে।
ডাক্তার কে কস্তুরীরঙ্গন ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরোর মহাকাশ কমিশন এবং মহাকাশ বিভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। ইসরোর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও কস্তুরীরঙ্গন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং কর্ণাটক জ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন।
এছাড়াও, ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি উপগ্রহ এবং অন্যান্য উপগ্রহ তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন কস্তুরীরঙ্গন। ইসরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনিই ভারতের প্রথম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ ভাস্কর ১ এবং ২-এর প্রকল্প ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, পিএসএলভি এবং জিএসএলভি উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করেছিলেন। ইসরোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার আগ্রহের মধ্যে ছিল উচ্চ-শক্তির এক্স-রে এবং গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ্যা। তিনি মহাজাগতিক এক্স-রে উৎস, গামা রশ্মি এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তার প্রভাবের উপর গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করে ডঃ কস্তুরীরঙ্গনকে ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাগত যাত্রার একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোষ্টে লিখেছেন, ‘তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরোর সেবা করেছেন। ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পেয়েছি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*