পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে রাজি ফ্রান্স সরকার

Spread the love
ফ্রান্সে সম্প্রতি নতুন জ্বালানি কর বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার জেরে হু হু করে দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। শুধু তাই নয় জ্বালানির পাশাপাশি লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও। চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে ফ্রান্সের মধ্যবিত্তদের।
এই লাগামছাড়া জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছেন ফরাসি জনগণ। পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ। তৈরি হয়েছে দাঙ্গার পরিবেশ। অবস্থা সামাল দিতে হিমিশিম খাচ্ছে ফরাসি সরকার। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকাল সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে রাজি হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি দেশ জুড়ে এ বার জারি হবে জরুরি অবস্থাও। এমনটাই জানিয়েছেন, সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভাক্স।
গত ১৭ নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি বেসামাল হয়েছে ফ্রান্সে। নতুন জ্বালানি করের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের আগুন। এখনও পর্যন্ত ১৩৩ জন আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ৪১২ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ৷ বিক্ষোভকারীরা বাড়িঘর, দোকানপাট, শপিং মল, এমনকী পেট্রোল পাম্পেও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে খবর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বহু জায়গায়। মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেন্ট্রাল প্যারিসের রাস্তাজুড়ে দাপিয়ে বেডা়চ্ছে একদল বিক্ষোভকারী। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু বাড়ি এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে দিয়েছে এই বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয়রা বলছেন, গত এক দশকের মধ্যে এমন দাঙ্গা পরিস্থিতি দেখেনি ফ্রান্স৷
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কীভাবে কী আলোচনা করা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তবে আলোচনায় বসতে রাজি হলেও ম্যাক্রোঁ সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন, কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*