ইউরোতে অঘটন ৷ শেষ ষোলোর লড়াই থেকে বিদায় নিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ৷ অকুতোভয় কয়েকজন সুইস তরুণের সামনে পেনাল্টি শুট আউটে শেষ হল দিদিয়ের দেঁশর ছেলেদের সমস্ত জারিজুড়ি ৷ নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ৩-৩ ৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়েও যার পরিবর্তন হয়নি ৷ পেনাল্টি শুট আউটে ফ্রান্সকে ৪-৫ ব্যবধানে হারাল সুইৎজারল্যান্ড ৷
সোমবারের রাত ছিল শুধুই ইউরোময় ৷ দুই ম্যাচে গোলের বন্যা ৷ তবে ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে প্রথম বার কোনও বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারল না ফ্রান্স ৷ খেলার প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে শেষ করে সুইৎজারল্যান্ড ৷ ম্যাচের মাত্র ১৫ মিনিটে সবাইকে চমকে দিয়ে গোল করে সুইসদের এগিয়ে দেন হ্যারিস সেফেরোভিক ৷ স্টিভেন জুবের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন হ্যারিস ৷ দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকই একাধিকবার আক্রমণ করে ওঠে সুইৎজারল্যান্ড ৷ মিড ফিল্ডার স্টিভেন জুবের বারবার ফরাসি ডিফেন্সে ত্রাস সৃষ্টি করতে থাকে এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি অর্জন করেন ৷ তবে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সুইস স্ট্রাইকার রিকার্ডো রড্রিগেজ ৷ পেনাল্টি মিস করেন তিনি ৷
তবে তার চার মিনিটের মধ্যেই পটপরিবর্তন হয় বুকারেসের ন্যাশানাল অরিনায় ৷ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েন সুইসরা ৷ সৌজন্যে ফরাসি তারকা করিম বেঞ্জিমা ৷ মাত্র ১০৩ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি গোল করেন বেঞ্জিমা। প্রায় মিনিট ১৫ পর ফের ফ্রান্সকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন পল পোগবা ৷ সবাই যখন ধরে নিয়েছে নাটকের যবনিকা পতন হয়েছে, তখনই নতুন নাটক শুরু ৷
খেলার ৮১ মিনিটে সুইৎজারল্যান্ডের ত্রাতা হিসেবে উঠে আসেন সেই হ্যারিস সেফেরোভিক ৷ এবারও হেডে গোল করে দলের ব্যবধান কমান ৷ ম্যাচের ৯০ মিনিটে সুইসদের সমতায় ফেরান মারিও গাভরানোভিক ৷ এরপর অতিরিক্ত সময়ে আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি ৷ খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে ৷
পেনাাল্টি শুট আউটেও ছিল টানটান উত্তেজনা ৷ একেবারে শেষ শুট আউট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল ফলাফল জানতে ৷ প্রচণ্ড চাপের মুখে পেনাল্টি মিস করলেন ফরাসি তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে ৷ যদিও তার আগেই নিজেদের পেনাল্টি শুট আউটের পাঁচটি বলই জালে জড়ান সুইসরা ৷ ক্লাব ফুটবলে দলবদলে যে নামগুলি ভেসে আসছে, তার অন্যতম নাম এমবাপে ৷ তবে চলতি ইউরো সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ফরাসি তরকা ৷ সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও পল পোগবার বাড়ানো দুটি অসাধারণ বলে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি ৷ তবে তাঁর পেনাল্টি মিস দিদিয়ের দেঁশর ছেলেদের এবারের মতো ইউরোর অভিযান শেষ করে দিল ৷
Be the first to comment