প্রতীকী ছবি,
মুখে বিয়ের মন্ত্র। মনে প্রতারণার জাল। বিয়ের পর স্ত্রীয়ের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গায়েব। চারবার বিয়ের পর শেষমেশ পুলিশের জালে। একটা বিয়েতেই গলদঘর্ম, আর এনার চার-চারটি বিয়ে। তবে কোনওটাই রমণীর জন্য নয়, মানির জন্য। একটাই লক্ষ্য, টাকা। তার জন্যই বার বার বিয়ে। শেষমেশ অবশ্য প্রতারণা ফাঁস। স্বামী এখন শ্রীঘরে।
খবরের কাগজে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্রী খুঁজত। ক্লাস এইট পাস শেখ মুজিবর রহমান কখনও কায়স্থ। সিআরপিএফ-এ কর্মরত। চাই ফর্সা, স্লিম পাত্রী। কায়স্থ পাত্রই কখনও আবার সুন্নি। সুদর্শন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। বর্ধমানে স্বগৃহ। চাই তাঁর শিক্ষিতা, সুশ্রী পাত্রী। কখনও আবার নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দিত। সেই জালে পা দেন বেহালার সরশুনার সোনালি পার্কের বাসিন্দা অর্পিতা ধর।
তাঁকে অভিজিৎ বলেছিল, সিআরপিএফে চাকরি করে। কিন্তু, গত বছর অগাস্টে বিয়ের কয়েক মাসেই অর্পিতা বুঝে যান, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ধীরে ধীরে জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর কাজই হচ্ছে প্রতারণা। তাঁর তার সব নথিই ভুয়ো। এমনকী নামটাও। এর আগে সে আরও তিনটি বিয়ে করেছে। কিন্তু, এ সব জানার আগেই অর্পিতার পরিজনদের থেকে ১০-১২ লক্ষ টাকা নিয়ে নাকি চম্পট দেয় শেখ মুজিবর। সরশুনা থানা তদন্তে নেমে জানতে পারে, ৬টি ফোন নম্বর ব্যবহার করে মুজিবর। সে সব ট্র্যাক করতে থাকে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই রবিবার, দিঘার একটি হোটেল থেকে মুজিবরকে গ্রেফতার করা হয়।
Be the first to comment