গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে কার্যত গেরুয়া ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। একের পর এক আসন যায় বিজেপির দখলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের বিধানসভা ভোটেও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে মোটের উপর ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও যে তথ্য় উঠে আসছে তাতে বিজেপির তাবড় নেতৃত্বের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গ থেকে কয়েকলাখ কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এর মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা যেমন রয়েছেন, তেমনি অমল আচার্য, সরল মুর্মুর মতো দলবদলু নেতা নেত্রীরাও রয়েছেন। এদিকে এবার কোচবিহারে ৯টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন বিজেপির দখলে যায়। আর অসম লাগোয়া সেই কোচবিহার থেকেই এবার দলে দলে ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে। সেই সংখ্যাটা বাড়ছে ক্রমশ।
তবে শুধু কোচবিহার নয় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি. দার্জিলিং পাহাড়, দুই দিনাজপুর থেকে একেবারে দল বেঁধে যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূলে।ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার থেকে খোদ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেই স্রোতে গা ভাসাতে চাইছেন অনেকেই।
দল সূত্রে খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য যাঁরা ভোটের আগে বিজেপি শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য রীতিমতো কাকুতি মিনতি শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি। শুধু কোচবিহারের বিভিন্ন ব্লক থেকেই প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আলিপুরদুয়ারে এই সংখ্যাটা ৯০ হাজারের কাছাকাছি।
পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পং থেকে প্রায় ৪০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। জলপাইগুড়ি ও মালদা থেকে প্রায় ৭০ হাজার ও উত্তর দিনাজপুর থেকে ৫৫ হাজার ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে দলে ফেরার জন্য।
Be the first to comment