‘আমরা চাই, আপনারা রাজনীতির খেলা ছেড়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন’ নবান্ন থেকে চন্দ্রিমার বার্তা ডাক্তারদের..

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

আমরা চাই, আপনারা রাজনীতির খেলা ছেড়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন। বুধবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বেশ কয়েক দফা শর্ত রেখে বুধবার নবান্নে আলোচনায় যোগ দিতে গেলেন না। এরপরই সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। নবান্ন চায় খোলামনে আলোচনায় আসুন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা আরও বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। এভাবে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয় না। আমরা চাই, আপনারা রাজনীতির খেলা ছেড়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন। তিনি বলেন, ‘নবান্নতে মেল এল ভোর তিনটেয়। কোনও সিএমও-তে কি এটা মেল করার সময়? এটা কি স্বাভাবিক? তাহলে কি এর পিছনে রাজনীতি লুকিয়ে আছে? আসলে রাজনীতি লুকিয়ে আছে বলেই এই ধরনের ঘটনা আমরা দেখছি। এর পরে আজ দুপুর তিনটেয় মেল করে ৬টায় আসার কথা বললেন মুখ্যসচিব। আড়াই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল ওঁদের। ১২-১৫ জনকে আসতে বলা হল। সেই মেলের উত্তর এল দু’ঘণ্টা পরে, একাধিক শর্ত-সহ। লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে, মাননীয়াকে থাকতে হবে, ডাক্তারদের যা দাবি আছে সেগুলো নিয়েই কথা বলতে হবে।’
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের এদিন সন্ধ্যায় নবান্নে বৈঠকের জন্য আসতে বলেছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু সেই চিঠিতে কোথাও লেখা ছিল না যে মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তবে প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ছিলেন।
অন্যদিকে, ডাক্তাররা বুধবার পরিষ্কার জানান, এ সব ধোঁয়াশা রাখলে চলবে না। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হবে, বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে এবং তাঁদের ৩০ জন প্রতিনিধিকে বৈঠকে ডাকতে হবে।
পালটা এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ১০ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল জুনিয়র ডাক্তাররা তা মানতে চাননি। আমরা যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে কোনও ইতিবাচক সাড়াও পায়নি। আমরা ভেবেছিলান, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হবে। তাঁদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সরকার শুনবে। এবং সরকার তার পর যথাসাধ্য করবে। কিন্তু দেখা গেল, ওঁরা নানান শর্ত দিচ্ছেন। এভাবে আগাম শর্ত দিয়ে খোলামেলা আলোচনা কখনও হয় না। এরপরই রাগঢাক না করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজনৈতিক ইন্ধন ও প্রভাবের কারণেই জুনিয়র ডাক্তাররা এমন দরকষাকষিতে নেমেছেন। তাতে আলোচনার পরিবেশটাই নষ্ট হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু জানিয়েছিল যে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্যাতিতা নিহত মেয়েটি বিচার পান– এটা আসলে প্রকৃত দাবি নয়। পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে এতকিছু চিন্তা করতে। কিন্তু আসল লক্ষ্য হচ্ছে, কোনও আলোচনা না করা। তাই এই শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।’
এদিন শেষে চন্দ্রিমাকে প্রশ্ন করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় সরকার কি জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত নিলে জানতে পারবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*