স্কুলে নিয়োগ নিয়ে গণ্ডগোল। তার জের অশান্তিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যু। এরই প্রতিবাদে ডাকা বিজেপির বনধে রাস্তায় না নেমে স্কুলে ছাত্র পড়ালেন বিজেপির বসিরহাট জেলা সভাপতি। এই নিয়েই দলের অন্দরে তীব্র সমালোচনার মুখে ওই নেতা।
বাদুড়িয়ার কেফায়েতকাটি পশ্চিম পাড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বিজেপির বসিরহাট জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ। তাঁর দলের নেতা কর্মীদের অভিযোগ, এ দিন যখন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা বনধের সমর্থনে রাস্তায়, তখন কোথাও দেখা যায়নি গণেশবাবুকে। কারণ তিনি তখন নিজের স্কুলে ছাত্র পড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় দলীয় সভাপতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন বসিরহাটের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হাজারিলাল সরকার। তিনি বলেন, ‘‘দলের একজন পদাধিকারী হয়ে এটা ঠিক করেননি। গনেশবাবু কার্যত বনধের বিরোধিতা করলেন।’’
দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ’’আজ সকালে যদি সভাপতি কর্মীদের সঙ্গে থাকতেন তা হলে বসিরহাটের বনধ একশো ভাগ সফল হত।’’ শাস্তির ভয়েই এ দিন আন্দোলনে না থেকে তিনি স্কুলমুখো হয়েছেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।
আর যাবতীয় ক্ষোভ বিক্ষোভের কেন্দ্রে যিনি সেই গণেশবাবু অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বনধের দিনে তিনি স্কুল করেছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে ঘটনাটি দলীয় পর্যায়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান বসিরহাট জেলা পর্যবেক্ষক অজয় ঘোষ।
Be the first to comment