BJP-কে আটকাতে সাম্ভাব্য জোটের চেহারা কী হবে তা ঠিক করতে রাজ্য সফরে এসেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌরব গগৈ। তিনি রাজ্যে নিযুক্ত পর্যবেক্ষকও। BJP-কে ঠেকাতে তৃণমূল বা বামেদের সঙ্গে হাত ধরা হবে নাকি একলা চলা হবে তা নিয়ে চুলচেরা আলোচনা চলছে। এরই মাঝে রায়গঞ্জে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দীপা দাশমুন্সিকে দাঁড় করাতে দিল্লিতে দরবার শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
রায়গঞ্জের সাংসদ CPI(M)-এর মহম্মদ সেলিম। বামেদের সঙ্গে জোট হলে তিনিই ওই আসনের দাবিদার হবেন। তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলে খারাপ সম্পর্কের কারণে দীপা দাশমুন্সির পাশে বাস্তবে তৃণমূল নাও দাঁড়াতে পারে। এই সমীকরণ মাথায় রেখেই কংগ্রেসের দাবি, জোট হোক বা না হোক রায়গঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সিকেই করতে হবে। প্রয়োজনে একলা চলো নীতিতে চতুর্মুখী লড়াই হলে হবে। তৃণমূলকে ঠেকাতে কোথাও জোট, কোথাও আবার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এতদিন কিছুটা হলেও সহাবস্থানের মাধ্যমে রায়গঞ্জে লড়াই চালাচ্ছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু এবার নির্বাচন সামনে আসতেই প্রার্থীপদ পেতে ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে।
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুর পর দিল্লিতেই থাকেন দীপা। কিন্তু প্রার্থীপদের দাবিদার হিসেবে ফের সামনে এসে জেলার কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে আগামী ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে রেলমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত একই দাবিতে ইতিমধ্যেই সংসদে দাবি জানিয়েছেন সাংসদ সেলিম। রায়গঞ্জে ২৫ অগাস্ট রেলরোকো কর্মসূচিও পালন করেছে বামেরা।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, জেলার মানুষের চাহিদা কলকাতাগামী সকালের ট্রেন। কিন্তু দাবিদাওয়া পূরণ হচ্ছে না। দিল্লির দরবারে মানুষের দাবি কেউ (পড়ুন সাংসদ মহম্মদ সেলিম) পৌঁছে দিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র দীপা দাশমুন্সিই বিকল্প। আমরা শুধু নয়, জেলার মানুষ চাইছেন তিনিই প্রার্থী হন। আমরা দিল্লিতে এ নিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়েছি। এনিয়ে অবশ্য দীপা দাশমুন্সির প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
CPI(M) সাংসদ মহম্মদ সেলিম জানান, কংগ্রেস অন্য দল। তাই ওদের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
এ নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন তৃণমূল নেতারাও। তবে BJP-র দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে একমাত্র তারাই লড়াই করেছিল। তাই তৃণমূলকে রুখতে বিকল্প তারাই। চতুর্মুখী লড়াই হলে লাভবান হবে BJP-ই।
Be the first to comment