
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছার প্রত্যুত্তরে এবার তাঁকে আবেগ প্রবণ হয়ে ধন্যবাদ জানালেন হিউম্যানিটিজ ও সোশ্যাল সায়েন্সে সর্বোচ্চ সম্মান নরওয়ের ‘হলবার্গ’ পুরস্কার প্রাপক অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। এদিন তিনি তাঁর ধন্যবাদপত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষতাকেও সমর্থন করার বার্তা লেখেন।
সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক হিউম্যানিটিজ ও সোশ্যাল সায়েন্সে সর্বোচ্চ সম্মান নরওয়ের ‘হলবার্গ’ পুরস্কার পেতে চলেছেন। তাঁর এই সম্মানে গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে অধ্যাপিকাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছার প্রত্যুত্তরে অধ্যাপিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানান, ‘আপনার সাম্প্রতিক এক্স হ্যান্ডেল পোস্টের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যেখানে আপনি অত্যন্ত উদারভাবে ইউনিভার্সিটি অফ বার্গেন এবং নরওয়ের সরকার কর্তৃক আমাকে প্রদত্ত পুরস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। আপনার লেখায় আমার দীর্ঘদিনের পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলের কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আমাকে বিশেষভাবে আবেগপ্রবণ করেছে। কারণ, আমি আপনার দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টার অত্যন্ত প্রশংসা করি। প্রকৃতপক্ষে, গত চল্লিশ বছর ধরে আমি বাংলার বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া জেলার দরিদ্র মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক শিক্ষার প্রতি গভীরভাবে নিবেদিত রয়েছি। আমি তাদের সাথে অনেক সময় কাটাই এবং দীর্ঘস্থায়ী জ্ঞানীয় ক্ষতির সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় তা শিখতে চেষ্টা করি। আমি আপনাকে বলতে চাই যে, তারা এই পুরস্কার নিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি, আমাদের প্রিয় বাংলায় বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রমের দিগন্ত প্রসারিত করার প্রচেষ্টার দিকে আপনি সদয় দৃষ্টি রাখবেন। আপনি আমাদের ১,০০০ বছরের বাংলা সাহিত্যের দ্বিভাষিক সংস্করণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন, তা জানতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বের কিছু সেরা লেখক বাংলা ক্লাসিকসকে বিশ্বব্যাপী পাঠকদের জন্য অনুবাদ করছেন। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পী, একটি তহবিল সংগ্রহকারী ডিনার এবং বিভিন্ন জনহিতৈষী দাতাদের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছি। আপনার সমর্থন নিঃসন্দেহে আমাদের তহবিল সংগ্রহে অত্যন্ত সহায়ক হবে।’
তিনি চিঠিতে উল্লেখ্য করেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে, আমি আপনার ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমর্থন করি।’
তিনি তাঁর চিঠিতে আরও লেখেন, ‘আমি একজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী এবং ভারত ও বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত।’ শেষে তিনি আবারও, তাঁর পুরস্কার পাওয়ার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার জন্য আরও একবার তাঁকে ধন্যবাদ জানায়।
Be the first to comment