গজলডোবাকে ‘নোটিফায়েড’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love
টুরিজ়ম হাব “ভোরের আলো” প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে গজলডোবা পর্যটন কেন্দ্রকে নোটিফায়েড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া এলাকার উন্নয়নে শিল্পপতিদের বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের আন্তরিকতা বোঝাতে এই এলাকার জন্য পৃথক মহকুমাশাসক নিয়োগের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জমি মাফিয়াদের সতর্ক করে প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি বলেন, “এলাকায় ভিডিয়ো করুন। এতে কোথায় কী রয়েছে তার একটা হিসেব থাকবে। হঠাৎ করে কেউ এসে বসে পড়বে সেটা হবে না। কোথাও অবৈধ নির্মাণ হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে OC বা কোনও পুলিশকর্মী যুক্ত থাকলে তাঁরাও শাস্তি পাবেন। এমনকী, এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িয়ে পড়লে তাঁকেও রেয়াত দেওয়া হবে না।”
বুধবার ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে টুরিজ়ম হাবে “ভোরের আলো” প্রকল্পের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী দিনে এখানেও ছোটো এয়ারপোর্ট গঠন করা হবে। পর্যটকরা সরাসরি এখানে আসতে পারবেন।” এছাড়া, আমলাদের নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় বায়ো টয়লেট তৈরি করে দিতে হবে। স্থানীয় মাঝিদের আধুনিক নৌকা দিতে হবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য নানা সরকারি প্রকল্পে সহায়তা দিতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী দিনে গজলডোবা হয়ে উঠবে রাজ্যের সেরা পর্যটন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হবে বাংলার হাট। থাকবে বিশ্ব বাংলার স্টল।
শিল্পপতিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া সহ কিছু শিল্পপতি আমার সঙ্গে এসেছেন। তাঁরাও বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন। এখন রাজারহাটে আর জমি নেই। আগেভাগে জমি না নিলে জমি মিলবে না। বড় হোটেলগুলো বিনিয়োগ করুক গজলডোবায়।” এছাড়া আজ সভামঞ্চ থেকেই মাঝিদের লাইফ জ্যাকেট দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সাইকেলও দেওয়া হয়। বলেন, “এই সাইকেলে পর্যটকদের ঘোরাতে গাইডের ভূমিকা পালন করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।” পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকেই স্বপ্না বর্মণের ভাইকে পর্যটন দপ্তরে চাকরিও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গজলডোবার এই অনুষ্ঠানে ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব, বিনয় বর্মণ ও বিনয় তামাং।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*