জি ডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের শিশুকে এক শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে মর্মান্তিক এবং জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অবিলম্বে ঐ দোষী শিক্ষককে সমাজ থেকে বহিস্কৃত করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে বললেন তিনি। রাজ্য সরকারের তরফে এদিন স্কুলে যায় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কথা বলে স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের সাথে, প্রিন্সিপ্যাল বলেন, আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিভাবক লিখিতভাবে অভিযোগ জানাননি। পুরোটাই সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। ঘটনার নিন্দা করছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চয়ই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।
এই ঘটনায় অভিভাবকরা ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন। হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় মেয়েটির বাবা ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এমন লজ্জাকর ঘটনায় স্কুলের ভুমিকা নিয়ে শক্ত মনোভাব দেখিয়েছেন রাজ্যের শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। তিনি জানান, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জাকর। শিশু সুরক্ষা কমিটির দুটি টিম চলে গিয়েছে। একটি পিজি তে আর অন্যটি স্কুল এ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিশু সুরক্ষা কমিশনকেও নির্যাতিতার বাবা-মা ও স্কুলের সাথে কথা বলতে বলেছি।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মেয়েটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আঘাতও ভীষণ ভাবে গুরুতর। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানান, স্কুলের বক্তব্যে খুশী নই। বেশিরভাগ অভিযোগেরই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিন বছর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল তা সত্ত্বেও কেন সিসিটিভি লাগানো হয়নি তাও জানাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাড়োয়া থেকে নবান্নতে ফেরেন। নবান্নতে জি ডি বিড়লা স্কুলের ঘটনা শুনে বললেন, যা ব্যবস্থা নেবার পুলিশ নিচ্ছে।
নবান্ন থেকে আদেশ পেয়েই অভিযুক্ত দুই স্কুল শিক্ষককে আটক করল যাদবপুর থানার পুলিশ। পস্কো আইনের ৪ এবং ৬ ধারা অনুযায়ী দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে। অভিযুক্ত দুই স্কুল শিক্ষকের নাম অভিষেক রায় এবং মহম্মদ মফিজুদ্দিন।
Be the first to comment