মৃত্যু মিছিল যেন। বাচ্চা-জোয়ান মিলিয়ে গির জাতীয় উদ্যানে আগেও মৃত্যু হয়েছিল ১১টি সিংহের। এ বার সেই সংখ্যা ১০। সব মিলিয়ে ২১টি সিংহের মৃত্যুতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে গির জাতীয় উদ্যানে। মাথায় হাত বন দফতরের কর্মীদেরও।
গির ডালখানিয়া রেঞ্জ থেকে উদ্ধার করে গুজরাটের আমরেলিতে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই সিংহগুলিকে। সেখানেই যশধর অ্যানিমাল সেন্টারে মৃত্যু হয়েছে তাদের। বন দফতর সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে দশ দিনে একটি একটি করে মৃত্যু হয়েছে এশীয় সিংহগুলির।
এর আগেও সেপ্টেম্বর ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১১টি সিংহের। অমরেলি জেলার রজুলার কাছের জঙ্গল থেকে প্রথম একটি সিংহীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই একই দিনে দলখানীয় রেঞ্জ থেকে আরও তিনটি সিংহের দেহ মেলে। ধীরে ধীরে জঙ্গলের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সাতটি সিংহকে। এ বারের ঘটনাও অনেকটা এমনই। ভাইরাস ঘটিত কোনও দুরারোগ্য রোগের কারণেরই সিংহগুলির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বন ও পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, সিংহগুলি ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাসে (CDV) আক্রান্ত হয়েছিল। জঙ্গলে কুকুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায়। একই রকম ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালে তানজানিয়ার সেরেঙ্গেটিতে একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় এক হাজার সিংহের।
বন ও পরিবেশমন্ত্রী গণপত ভাসাভা কথায়, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভিরোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী চারটি সিংহের দেহে ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাস পাওয়া গেছে। আরও ছ’টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে প্রোটোজোয়া সংক্রমণে। বাকিদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।
২০১৫-র গণনা অনুযায়ী, গির জাতীয় উদ্যানে ৫২০টি সিংহ-সিংহীর থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে কখনও চোরাশিকার, কখনও বা বৈদ্যুতিন বেড়ার কাছে চলে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া-সহ নানা কারণে ২০১০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে গড়ে ৬২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে।
Be the first to comment