২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি কংগ্রেস। কৌশলে গোয়ার মসনদ দখল করে বিজেপি। পরে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে ভিড়ে যান গেরুয়া শিবিরে। ২০১৭’র সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার আগেভাগে ব্যবস্থা নিল হাত শিবির। যদিও কংগ্রেসের নেওয়া এই পদক্ষেপকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী শিবির।
কী ব্যবস্থা নিল কংগ্রেস? দলীয় সূত্রের খবর, গোয়ার প্রার্থীদের ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়ে নেওয়া হয়েছে যে তাঁরা কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসার পর অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। যত প্রলোভনই আসুক, তাঁরা দলের প্রতি অনুগত থেকেই গোয়ার মানুষের সেবা করবেন। শনিবার দলের প্রার্থীদের প্রথমে গোয়ার বিখ্যাত মহালক্ষ্মী মন্দিরে নিয়ে যান কংগ্রেস নেতারা। তারপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় খ্রিস্টানদের ধর্মস্থান বাম্বোলিম ক্রসে। সবশেষে কংগ্রেস প্রার্থীরা যান হামজা শাহের দরগায়। নিজের নিজের ধর্মস্থানে দলের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের পর এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়েছেন। যার ফলে এই মুহূর্তে সৈকত রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ২। তাই এবার শুরু থেকেই দলত্যাগ প্রসঙ্গে কড়া অবস্থান নিয়েছেন পি চিদম্বরম, দীগম্বর কামতরা। প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভায় কংগ্রেস লড়ছে ৩৭ আসনে। বাকি তিন আসনে লড়ছে জোটসঙ্গী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। নিজেদের ভাগের ৩৬ আসনের প্রার্থী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে হাত শিবির। সেই তালিকাতেও বেশ কয়েকজন দলবদলু নেতা জায়গা পেয়েছেন। যা দেখে কংগ্রেসের এই আনুগত্যের শপথকে শুধুই দেখনদারি বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন গোয়া কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরম তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। চিদম্বরমের বক্তব্য, তিনি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী। কোনও দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনওরকম বাদানুবাদে জড়াতে চান না।
Be the first to comment