গোয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটের পথে তৃণমূল? তুঙ্গে জল্পনা

Spread the love

আচমকা রাজনৈতিক ছবির বদল গোয়ায়। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেশাই রাহুল গান্ধীর হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। সেই বিজয়ই বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের টুইটে ট্যাগ করলেন তৃণমূল ও কংগ্রেসকে। আবার পালটা এই নিয়ে টুইট করতে গিয়ে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি আর কংগ্রেসকে ট্যাগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তবে কি বিজেপির বিরুদ্ধে এবার সেখানে মহাজোটের পথে তিন দল! যা নিয়ে জোর আলোচনা গোয়ার রাজনীতি নিয়ে।

নিজের টুইটে বিজয় কংগ্রেস, তৃণমূল ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে একত্রে আহ্বান করে লিখেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় থাকার জন্য কোভিডের তৃতীয় ঢেউকে ব্যবহার করে ভোটে তার প্রভাব ফেলতে চাইছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির উচিত তাদের অহংয়ের ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করা। আর বিজেপির বিভাজন নীতিকে ধূলিসাৎ করা। সরাসরি এর জবাব না দিলেও মহুয়া তিন দলকে ট্যাগ করে লিখেছেন, “গোয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে লড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন লড়াই অতীতেও লড়েছেন। গোয়ার মানুষের জন্য তাঁকে আরও কিছু পথ হাঁটতে হলে তিনি পিছুপা হবেন না।” এর পরেই জল্পনা বাড়ে।

ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সে রাজ্যের বিধানসভা ভোট। যাকে সামনে রেখে তৃণমূল বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব ও দলের এ রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে গোয়া পাঠিয়েছে। মহুয়া টানা সেখানে কাজ করছেন। একাধিকবার সে রাজ্যে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ জানুয়ারি ফের তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা। তার মধ্যেই গোয়ায় কি রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে চলেছে?

গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেশাই ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের সময় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই রাহুল গান্ধীর হাত ধরেন। অথচ তখনই বিজয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। তিনি নিজে এবং আরও একাধিক নেতা বিজেপির সঙ্গে সে রাজ্যে কংগ্রেসের আতাঁতের অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পরও তাঁর এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এদিন তাঁর এই একটি টুইট ফের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। তবে কি সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত? সবটাই সাজানো? শত্রু বিজেপি শিবিরকে ধন্ধে রাখতেই কি প্রথমে কংগ্রেসে গিয়ে পরে তাঁদের জোটকে তৃণমূলের সঙ্গে জোড়ার অভিনব চমক! মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে নিয়ে কি এবার সেই বিরোধী শক্তি আরও শক্তিশালী কোনও মঞ্চের দিকে এগোবে? জবাব দেবে ভবিষ্যৎ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*