মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকায় হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার। মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল শতাধিক বন্দুক ও হাজারের বেসি কার্তুজ। একটা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এই গোয়ালতোড়ে বুধবার বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সন্ধান মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, বড়ডাঙা এলাকায় পঞ্চায়েতের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। এদিন সেই কাজের জন্য রাস্তায় কাটা হচ্ছিল। জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় হদিশ মেলে এই অস্ত্র কারখানার। উদ্ধার হওয়া বন্দুকগুলি ১৫ থেকে ২০ বছর পুরনো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
এদিকে, বুধবারই ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের অর্থ জোগানোর অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে NIA। ধৃতের নাম মহেশ আগরওয়াল। সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে তার সল্টলেকের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ড হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ডক্টর রবিরঞ্জন এবং বিচারপতি এস এন প্রসাদের এজলাসে মহেশ আগরওয়াল সহ আরও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্ত বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে NIA। প্রথমে ঝাড়খন্ড আদালত তাদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ গিয়েছিল।
কিন্তু, পরবর্তীকালে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত। রক্ষাকবচ সরে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে ঝাড়খন্ডের NIA টিম মহেশ আগরওয়ালকে তার সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রথমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। তাকে পাকড়াও করে NIA আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। NIA ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানাবে বলেই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, মহেশ আগরওয়াল সহ বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মগধ ও আম্রপালি প্রকল্পে কয়লা লোডিং এবং খনির জন্য কাজ করা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মাওবাদী সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি আরও অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এই মামলার তদন্ত করছে।
কিছুদিন আগেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার অন্তর্গত কে সি সেন স্ট্রিটের সামনে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি মুদির দোকানে ঢুকে দীপক দাস নামের ব্যবসায়ীকে গুলি করে তাঁরই এক আত্মীয় রাকেশ দাস। জানা যায়, কোনও বিষয় নিয়ে দু’ জনের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। যার জেরে ওই ঘটনাটি ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রাকেশ দাস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।
Be the first to comment