আলিপুরদুয়ারে কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। আলিপুরদুয়ারের সভাপতি পদত্যাগের কারণ নিয়ে দলের মধ্যে আত্ম–সমীক্ষার দাবি তুললেন মালদহের বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল। আর তাঁর এই দাবিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যস্তরে। কারণ তিনি দলের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন। তাও আবার প্রকাশ্যে। যা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
একে তো একুশের নির্বাচনের হার দগদগে হয়ে রয়েছে। তার উপর যোগ হয়েছে দলে ভাঙন। আর সঙ্গে তো বেসুরো গাইছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে এবার দলে থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মালদহের বিজেপি সভাপতি। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তিনি বলেন, ‘দল আদর্শভ্রষ্ট হচ্ছে কিনা সেটা দেখা উচিত। শীর্ষ নেতৃত্বকে জেলার কার্যকর্তাদের কথা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে। কারণ তাঁরা তিল তিল করে পার্টির সংগঠন গড়েছেন। বাইরে থেকে কেউ হুট করে চলে এল, আর নেতৃত্ব নিয়ে নেবে তা মেনে নেওয়া যায় না। হঠাৎ করে আসব আর গদি পাব, সেটা হয় না।’ এই ধরণের মন্তব্য আগেও অনেক গেরুয়া শিবিরের নেতারা করেছেন। এবার জেলা থেকে এই আওয়াজ ওঠায় সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা ৭০ থেকে ৮০ জনকে এবার প্রার্থী করা হয়। এদের মধ্যে তিন থেকে চারজন জিতেছেন। তাঁরা সকলে জিতলে হয়তো মন্ত্রী করে দেওয়া হতো। আর আমাদের মতো নেতাদের লাইন দিয়ে তাঁদের পেছনে থেকে দেখা করতে হতো। তাও হয়তো দেখা পেতাম না। ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই ।’ অর্থাৎ বিজেপি একুশের নির্বাচনে হেরে ভাল হয়েছে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিজেপি মালদহ জেলা সভাপতির মন্তব্যে এখন তোলপাড় রাজ্য নেতৃত্ব।
এখানেই শেষ নয়, মালদহের বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের কথায়, মানুষ বাইরের নেতা, সারদা–নারদ কাণ্ডে যুক্ত এমন নেতাদের মানতে পারেননি। ওঁদের নিয়েই যত গণ্ডগোল হয়েছে। ক্ষমতা দখল মূল কথা নয়। আদর্শ নিয়েই ক্ষমতায় আসতে হবে। তাতে দেরি হয় হোক। গঙ্গা প্রসাদ শর্মার মতো নেতাদের দলত্যাগ দুভার্গজনক। ক্ষোভ দুঃখ অভিমান নিয়ে দল ছেড়েছেন উনি।
Be the first to comment