স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দের পাসপোর্ট বাতিল করল কেন্দ্র ৷ নতুন পাসপোর্টের জন্য তার আবেদনও বাতিল করা হয়েছে ৷ গতকাল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন , “আমরা তার পাসপোর্ট বাতিল করেছি ৷ এমনকি নতুন পাসপোর্টের জন্য তার করা আবেদনও গ্রহণ করা হচ্ছে না ৷ ” নিত্যানন্দ কি সত্যিই একটি ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ তৈরি করেছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে রবিশ কুমার বলেন , “একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং একটি রাষ্ট্র গঠন করা এক নয় ৷”
সম্প্রতি নিত্যানন্দের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ ভিডিয়োতে সে বলছে , “আমায় কেউ ছুঁতে পারবে না ৷ আমি আপনাদের সত্যিটা জানাচ্ছি ৷ আমিই পরম শিব ৷ ” এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র ৷ সতর্ক হয় বিদেশ মন্ত্রক ৷ গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে রবিশ কুমার বলেন , “কোথা থেকে ভিডিয়োটি আপলোড করা হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া সহজ নয় ৷ বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব নয় তা খুঁজে বের করা ৷ তবে আমরা অন্যান্য রাষ্ট্রকে তার বিষয়টি জানিয়েছি ৷ যদি তাদের কাছে কোনও তথ্য থাকে আমাদের জানাতে বলেছি ৷ “
নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে শিশু অপহরণের অভিযোগ রয়েছে ৷ শিশুদের কাজে লাগিয়ে বেআইনিভাবে টাকা রোজগারের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ৷ ২০১৮ সালের জুন মাসে কর্নাটকের এক আদালতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলায় জামিন পায় সে ৷ জামিনের পর দেশ ছেড়ে নিত্যানন্দ পালিয়েছে বলে দাবি করেছিল গুজরাত পুলিশ ৷ দেশ থেকে পালিয়ে ত্রিনিদাদে আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি করেছিল গুজরাত পুলিশ।
সম্প্রতি উঠে আসে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইকুয়েডরে একটি দ্বীপ কিনেছে সে৷ সেই দ্বীপের নাম রেখেছে ‘কৈলাস’৷ নিত্যানন্দের দাবি, সেই দ্বীপে সে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে ৷ নিত্যানন্দ না কি সেখানে একজন ‘প্রধানমন্ত্রী’ নিয়োগ করবে বলে জানা গেছে ৷ এই তথ্য সামনে আসতেই কেন্দ্রের সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহল থেকে ৷ ভারতে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, নিত্যানন্দকে জমি কিনতে সাহায্য করেনি ইকুয়েডর সরকার ৷ ইকুয়েডরে দ্বীপ কিনে সেখানে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের দাবিও অস্বীকার করে তারা ৷
ইকুয়েডর দূতাবাসের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ‘স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দকে ইকুয়েডরে আশ্রয় দেওয়া বা দক্ষিণ আমেরিকায় জমি বা দ্বীপ কেনার ক্ষেত্রে ইকুয়েডর সরকার তাকে সাহায্য করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা মিথ্যে ৷ ‘
Be the first to comment