যন্ত্রের যন্ত্রণাই হোক আর প্রযুক্তির বিপত্তি। অত্যাধুনিক সময়ে যেন এই দু’টি বিষয় হাত ধরেই চলে। আর তেমনই এক ঘটনায় মারাত্মক বিপদের শিকার হলেন তিন বন্ধু। রীতিমতো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন। গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চালানোর সময়ে গাড়ি-সুদ্ধ ৩০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেলেন তাঁরা! স্থানীয়রা উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে যান তিন জনই। তবে চোট পেয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার কেরলের পালামট্টম-অবলিচল রোডের ইনজাথোট্টির কাছে ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত তিন বন্ধু গোকুলদাস, ইসাহক এবং মুস্তাফা, ত্রিশূরের বাসিন্দা। ত্রিশূর থেকে মুন্নার যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই শর্টকাট এই রাস্তা ধরেছিলেন চালক। রাস্তা অচেনা হওয়ায়, গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি।
তাঁরা জানিয়েছেন, পালামট্টম-অবলিচল রোড ধরে যাওয়ার সময় আচমকাই মাঝ রাস্তার উপরে খাদের মতো বিশাল একটি গর্ত নজরে আসে তিন জনের। কিন্তু তখন খাদের প্রায় কিনারায় চলে এসেছে গাড়ি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। ফলে তিন জনকে নিয়ে গাড়িটি পড়ে যায় ওই খাদে। তার ভিতরে প্রায় আট ফুট গভীর জল ছিল। তবে পতনের ধাক্কায় গাড়িটির দরজা খুলে যাওয়ায় তিন জনেই কোনও ক্রমে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু কেউই সাঁতার জানতেন না। কোনও রকমে গাড়ির মাথায় চড়ে দাঁড়ান তাঁরা।
সেই সময়ে একটি কারখানায় কাজ করে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন ছ’জন শ্রমিক। তাঁরাই খাদ থেকে চিৎকার শুনে, নিজেদের পরনের ধুতি খুলে গিঁট দিয়ে তিন যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের শুশ্রূষা করে হাসপাতালে পাঠান তাঁরাই।
কিন্তু মাঝ রাস্তায় এত বড় গর্ত এল কোথা থেকে? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জায়গায় একটি ব্রিজ ছিল। কিছু দিন আগেই সেটি ভেঙে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ ভাঙা হলেও রাস্তার দু’দিকে ঠিক মতো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তার জেরে মাঝেমধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে।
Be the first to comment