পাহাড়ের রাজনীতিতে ফের উঁকি মারছে নতুন সমীকরণ।
আবারও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠছে। যাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন জ্বলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ইস্যুতে নতুন করে হাত মেলাতে পারেন বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডরা। অর্থাৎ, ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পর ফের বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে দার্জিলিংয়ে। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ড-এর ইস্যুতে শুরু থেকে সরব। এবার দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা হারিয়ে হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংয়েরও তাঁর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন। বিনয় তামাংয়ের এমন ভূমিকাকে ভালভাবে দেখছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
গতকাল, সোমবার নেতাজির জয়ন্তীতে কালিম্পংয়ে এক জনসভার আয়োজন করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেখানেই একমঞ্চে দেখা যায় বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডদের। যেখানে বক্তব্য রাখার সময় সকলের গলাতেই একসুর, উন্নয়নের স্বার্থে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি।
তবে পাহাড়ের পৃথক তিন রাজনৈতিক দলের নেতারা একজোট হলেও আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি যে কোনওভাবেই মাথাচাড়া দিতে পারবে না, তা কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এরকম আন্দোলন হতেই পারে। তবে বাংলাকে পৃথিবীর কোনও শক্তি ভাগ করতে পারবে না। বাংলা অটুট রাখাই আমাদের দায়িত্ব।” বিনয় তামাং প্রসঙ্গে বলেন, “দলের উর্ধে কেউ নয়। যারা দলের নীতি থেকে বিচ্যুত হবে তাদের বিরুদ্ধেই দল ব্যবস্থা নেবে। তবে বিনয় তামাং লিখিত কিছু জানায়নি দলকে।”
Be the first to comment