ফের সবুজ ঝড় গোসাবায় ৷ বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানাকে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করে নিজের গড় ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দখলে গিয়েছিল গোসাবা কেন্দ্রটি। ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছিলেন জয়ন্ত নস্কর। কিন্তু জয়লাভের পর গত জুনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান ওই বিধায়কের ৷ স্বভাবতই নিয়ম মেনে গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মাত্র মাস কয়েক আগের ব্যবধান প্রায় পাঁচগুণ বাড়িয়ে কেন্দ্রটি দখলে রাখলো তৃণমূল ৷ ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৩ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল ৷ প্রয়াত বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটে ৷
গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ৩১টি বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই নিজের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয় তৃণমূল ৷ ১টি যায় আইএসএফের দখলে ৷ উপনির্বাচনেও শক্তি বাড়িয়ে নিজেদের গড় অটুট রাখল শাসকদল ৷
গোসাবা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না ৷ যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জয়ের ব্যবধান ৷ তিনবারের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর গোসাবাকে হাতের তালুর মতো চিনতেন ৷ এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তাও ছিল যথেষ্ট ৷ তাঁর প্রয়াণে হওয়া উপনির্বাচনে জয়ন্ত-আবেগ প্রবলভাবে কাজ করেছে ৷ যার দরুন বাকি সব প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে ৷ জামানত খোয়ানো বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৩৮ টি ভোট পেয়েছেন ৷ আরএসপি প্রার্থীর ঝুলিতে গিয়েছে ৩ হাজার ৬৮ টি ভোট ৷
গত বিধানসভা নির্বাচনে থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি এবার চার উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল ৷ দলের আদি নেতা-কর্মীদেরই প্রার্থী করা হয়ছিল ৷ গোসাবাতেও তার অন্যথা হয়নি ৷ যদিও এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্থানীয় নন ৷ স্থানীয় যুতসই কোনও প্রার্থী না পেয়ে পাশের রায়দিঘি থেকে পলাশ রানাকে এখানে প্রার্থী করা হয় ৷ পলাশ রানা অবশ্য বিজেপির আদি কর্মী হিসেবেই পরিচিত ৷
ফল বেরোতেই দেখা গেল তৃণমূল ঝড়ে আদি কর্মীকে প্রার্থী করেও জামানত রক্ষা করতে পারল না বিজেপি ৷ এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৮ জন । প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছিল এখানে । এক নির্দল-সহ মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে গোসাবায় । তবে লড়াই মূলত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যেই ছিল।
Be the first to comment