তিন দিনের ঝাড়গ্রাম সফর শেষ করে পর্যটন মন্ত্রী এখন আলিপুরদুয়ারে। সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় দলীয় নেতাদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মন্ত্রী। পর্যটন কেন্দ্রগুলির অব্যবস্থা এবং নেতাদের উদাসীনতা নিয়ে কড়া কথাও শুনিয়ে দেন পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সন্ধের পর শহর লাগোয়া বীরপাড়ার রত্নেশ্বর ঝিল পরিদর্শন করেন। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক, জেলার পর্যটন দফতরের আধিকারিক, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বিদায়ি সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। শনিবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্রের পরিষেবা ও পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। বারংবার বলা সত্ত্বেও তার কোনও সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি, নেতা-মন্ত্রীদের আধিক্যে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতেও তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেছেন, “আমি যখন প্রশাসক তখন প্রশাসকের ভুমিকা পালন করতে চাই। তখন আমি আমার বাবা মাকেও চিনি না। এখানে নেতাদের এত ভিড়। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না।” তিনি আরও বলেছেন, “আমি বাড়িতে বসে গুগল ম্যাপ দেখে পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতে পারতাম । কিন্তু নিজে এসেছি। স্বচক্ষে দেখতে। কিন্তু নেতাদের হুড়োহুড়িতে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।”
সিকিয়াঝোরা থেকে ক্ষুব্ধ পর্যটন মন্ত্রী জলদাপাড়ার চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এর পর স্থানীয় আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাসকে ধমকের সুরে বলেন, “ তোমরা কী করবে? তোমাদের সব কন্ট্রোলে নেই। এই রকম করলে কাজ করা যায় না।” মেজাজ হারিয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে।
Be the first to comment