দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা। তিনি দিল্লি হাইকোর্টে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে ।
ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অপর চার অভিযুক্ত ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গঞ্জালেস ও সুধা ভরদ্বাজ এখনও গৃহবন্দী থাকবেন। সরকারি কৌঁসুলি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন, গৌতমকে আরও অন্তত দুদিন গৃহবন্দী রাখা হোক। কারণ সুপ্রিম কোর্টও আটক সমাজকর্মীদের আরও কয়েকদিন গৃহবন্দী রাখতে বলেছে। সেই আর্জি উড়িয়ে দিয়ে বিচারপতি বলেন, সমাজকর্মীরা যাতে উপযুক্ত আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন, সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের আরও কয়েকদিন বাড়িতে বন্দি করে রাখতে বলেছিল।
গতবছর ৩১ ডিসেম্বর পুনের কাছে ভীমা-কোরেগাঁও অঞ্চলে এক দলিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। মহারাষ্ট্র পুলিশের অভিযোগ, পাঁচ সমাজকর্মী ওই হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন।
পুলিশ আরও অভিযোগ করে, ধৃতদের বাড়ি থেকে আপত্তিকর হাজার হাজার এমন নথি পাওয়া গিয়েছে, যাতে প্রমাণিত হয়, তাঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ ছিল। তাঁরা মাওবাদীদের অস্ত্রশস্ত্র ও টাকাকড়ি সরবরাহ করতেন।
মহারাষ্ট্র পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার পরমবীর সিং বলেন, গত জুন মাসে গ্রেফতার হওয়া এক সমাজকর্মীর কাছে এমন চিঠি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দেখা যায়, মাওবাদীরা বলেছে, মোদী রাজ ধ্বংস করার জন্য রাজীব গান্ধী হত্যার মতো ঘটনা ঘটাতে হবে।
ধৃত পাঁচজনের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার ও আরও কয়েকজন। গত ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, তাঁরা গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তবে পাঁচ সমাজকর্মী নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন। সেইমতো গৌতম নাওলাখা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে সোমবার জামিন পেয়েছেন।
Be the first to comment