ভিনদেশে কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বাসন্তীর একই মায়ের তিন সন্তান। কিন্তু শুক্রবারের ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩ সন্তানকেই হারিয়েছেন মা। সোমবার ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর মঙ্গলবার সকালেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্রামে সন্তানহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গায়েন পরিবার। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদরাজ্যপাল আসেন সন্তানহারা সুভদ্রা গায়েনের বাড়িতে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁর তিন ছেলে হারাণ গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন মৃত্যু হয়েছে। গায়েন বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন স্বজনহারা অন্য দুই পরিবারের সঙ্গেও। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের অভাব-অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।
স্বজনহারাদের পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে আপাতত ৬ মাস তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে দেঅয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল। তাছাড়াও পারলৌকিক কাজের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, ফল, জামাকাপড়-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাজ্যপাল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। বাসন্তীর বিডিওর মাধ্যমে দ্রুত সেগুলো তাঁদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মৃতদের শ্রাদ্ধের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজভবন। যাদের ‘জনধন’ অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল।
Be the first to comment