মুখ্যমন্ত্রীর না-যাওয়ার অনুরোধ উপেক্ষা করেই আজ সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল বোস

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- রোজদিন ডেস্ক : ওয়াকফ প্রতিবাদে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদে আপাতত না-যাওয়ার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অনুরোধ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে তিনি বলেন, “আমি নিজেও এখন সেখানে যাচ্ছি না। কারণ এখন সবচেয়ে দরকার মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা। এটা কনফিডেন্স বিল্ডিংয়ের সময়।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করে রাজ্যপাল আজ সন্ধেতেই মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ ও তার আশপাশের এলাকাগুলি। রাজ্য সরকার, বিএসএফ, পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় আজ মুর্শিদাবাদে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সফরের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সফর স্থগিত রাখার জন্য এদিন অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এদিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ‘ঘরছাড়া’দের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজভবনে যান। এরপরেই রাজ্যপাল জানান, তিনি মুর্শিদাবাদে যেতে চান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সেই ঘোষণার পরই নবান্ন থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বহিরাগতদের উপস্থিতি পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে। তাঁর কথায়, “স্থানীয় মানুষজন বাদে এখন কারও ওইসব এলাকায় না যাওয়াই ভালো।”
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের বিএসএফ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “সীমান্ত আমাদের হাতে নেই। তারা কী করছে?” মমতার কথায়, “বিএসএফের এলাকাসীমা ৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করা হয়েছে। তবু এসব ঘটনা ঘটছে কেন? ব্যর্থতার দায় তাদের নয়?”
একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরা, অসম, মণিপুরে যান। সেসব তো আমাদের হাতে নেই!” তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন ওই এলাকাগুলিতে যেতে চাইছে, কিন্তু সরকারের তরফ থেকে তাদের এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আগে শান্তি ফিরে আসুক, তারপরে তারা সেখানে যেতে পারে।
এদিন ধর্ম নিয়ে রাজনীতির বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দাঙ্গা হিন্দু করে না, মুসলিম করে না, বৌদ্ধ বা পারসিরাও করে না। করে কিছু দুষ্কৃতকারী। টাকা দিয়ে আজকাল অনেক কিছুই করানো যায়। এই মুহূর্তে মিটিং-মিছিলের কোনও দরকার নেই। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, আইন নিজের পথে চলুক।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “নির্বাচনের সময় এলেই এই খেলা শুরু হয়। পুরোটাই এজেন্সির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি কালকে নামও বলে দিয়েছি। যা ইচ্ছা করুন, আই ডোন্ট কেয়ার। আমি শুধু মা, মাটি, মানুষকে কেয়ার করি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*