চোপড়ায় গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। চার শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালি ইস্যুতে এমনিতেই তপ্ত বাংলা। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। আর তারপরই তৃণমূলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, সন্দেশখালি গেলেও চোপড়ায় কেন গেলেন না রাজ্যপাল? বিএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চার শিশুমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল।
এরই মধ্যে চোপড়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা যান। সোমবার চোপড়ায় যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভাট্টাচার্য। এরপরেই মঙ্গলবার চোপড়ায় যান রাজ্যপাল বোস। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী গুলাম রব্বানী ও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা। এদিন তৃণমূলের ধর্ণামঞ্চর পাশ দিয়েই এলাকায় যান রাজ্যপাল। গায়ে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় যান মন্ত্রী গুলাম রব্বানীও।
সন্দেশখালিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই আজ চোপড়া গিয়ে চার শিশুর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি ছিল, এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে বিএসএফ কর্তাদের গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্যপাল এদিন ওই চার শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, যা দেখলেন, শুনলেন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানাবেন। রাজ্যপাল বোস বলেন, “প্রত্যেক পরিবারকে এক লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করছি। বিএসএফের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ শুনেছি। রিপোর্ট চেয়েছি। কথা বলব বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গেও।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার চোপড়ার চেতনাগাছে BSF-এর খোঁড়া নর্দমার মাটি চাপা পড়ে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডাকা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন রাজ্যের মন্ত্রী। BSF-এর গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব শাসক দল। রাজ্যপালের কাছে দরবার করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এই প্রেক্ষাপটে চোপড়ায় গিয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন বোস।
Be the first to comment