বাজেট অধিবেশনের আগে ফের সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে রাজ্যপালের আইনি চিঠি

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- সোমবারই বাজেট অধিবেশনের সূচনায় বিধানসভায় আসছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। তবে বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে পুরনো বিবাদ উসকে দিলেন রাজ্যপাল! বরানগর ও ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়কদের শপথ জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে ফের তাঁদের আইনি চিঠি পাঠালেন সিভি আনন্দ বোস। এ দিন দুই বিধায়ক বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেছেন, এক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মতোই চলবেন।

প্রসঙ্গত, বিধানসভার উপনির্বাচনে এই দুই বিধায়কের জয়ের পরই তাঁদের শপথ নিয়ে একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়। উপনির্বাচনে জয়ের পর শপথ গ্রহণের সময় তাঁদের রাজভবনে গিয়ে শপথবাক্য পাঠের জন্য বলা হয়। কিন্তু এই দুই বিধায়কের তরফ থেকে পালটা জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু তাঁরা রাজ্য বিধানসভার সদস্য, এক্ষেত্রে তাঁদের সেখানেই কাজ করতে হবে। হয় রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান, অথবা বিধানসভার স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দিন। যদিও এরপর এই নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে।
এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক হিসাবে তাঁদের এলাকার মানুষের দায়িত্ব পালন করতে না-পারার জন্য বিধানসভায় আম্বেদকার মূর্তির পাদদেশে ধর্নায়ও বসেন তাঁরা। সেখান থেকেই রাজভবনে না যাওয়া নিয়ে নিজেদের মত জানান তাঁরা। যদিও এই পর্ব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিধানসভার অধিবেশনের মধ্যেই দুই বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু সেই শপথ রাজ্যপালের মতে ‘বেআইনি’। সেকথা জানিয়ে আনন্দ বোস এও জানিয়েছিলেন, বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিলে সায়ন্তিকা-রেয়াতদের জরিমানা দিতে হবে। বিষয়টি আদালতের দোরগোড়াতেও পৌঁছেছিল। তবে সব জট কাটিয়ে নিজেদের এলাকায় কাজ করছেন বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়করা। এবার বাজেট অধিবেশনের আগে ফের সেই পুরনো শপথ-জট উসকে তুললেন সিভি আনন্দ বোস। সায়ন্তিকা-রেয়াতদের শপথ গ্রহণ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং রাজ্যপাল সম্পর্কে যে মন্তব্য করা হয়েছিল, তা নিয়ে ফের দুই বিধায়ককে চিঠি পাঠাল রাজভবন।
এদিন এই নিয়ে রেয়াত হোসেন সরকার বলেন, “আমরা রাজভবনের গোটা বক্তব্যই অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।।এক্ষেত্রে তিনি আমাদের যে পরামর্শ দেবেন আমরা সেই মতো চলব। অধ্যক্ষের পাশাপাশি তিনি আইনজীবীও। সেই জায়গা থেকে আমাদের অভিভাবক হিসাবে আমরা তাঁর উপর ভরসা রাখছি।”
অন্যদিকে, বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী-মলয় ঘটকেরও পরামর্শ নিয়েছেন। প্রশ্ন হল, আগামী সোমবার রাজভবনে আসবেন রাজ্যপাল। সেই সময় এই দুই বিধায়কের ভূমিকা কী হবে! জবাবে দুই বিধায়কই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, রাজ্যপাল আইনি চিঠি পাঠালেও সৌজন্যই দেখাবেন তাঁরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*