এসএসসির গ্রুপ ডি’র পর এবার গ্রুপ সি নিয়োগে বাড়ল জটিলতা। কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবারই এই নিয়োগ ঘিরে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। বাতিল করা হল ৩৫০ জনের নিয়োগও। অবিলম্বে এই ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলাতেও একই ধরনের নির্দেশ ছিল বিচারপতির।
এবারও অভিযোগ যেহেতু একইরকম গুরুতর, তাই এবারও সিবিআই অনুসন্ধানই চান বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, সিবিআই অধিকর্তা তদন্তে নজরদারি করবেন। মূলত, ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে এই ৩৫০ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধ করার কথাও বলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শক দেখবেন যেন এই ৩৫০ জন বেতন না পান। শুধু তাই নয়, ৩৫০ জনকে এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাও ফেরাতে হবে বলেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। আগামী ১৫ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি হবে।
তবে চাইলে এই ৩৫০জন আদালতে হলফনামাও দাখিল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য হলফনামা দাখিল করলে তাঁদের এও জানাতে হবে কার কাছ থেকে নিয়োগপত্র বা সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন। একইসঙ্গে জানাতে হবে, এতদিন পর্যন্ত কত টাকা বেতন হিসাবে পেয়েছেন তাঁরা। এসএসসি গ্রুপ সি-তে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মূলত ৩৫০ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারই শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কার সুপারিশে এই নিয়োগ হল? স্কুল সার্ভিস কমিশন নাকি বোর্ড?
এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চেই এই নিয়োগে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সেখানে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ হয়ে গেলেও কমিটি গঠন করে তদন্তের কথা বলে আদালত। ফের একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হল গ্রুপ সি নিয়োগের ক্ষেত্রেও।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বলেন, “বিরাট একটা জালিয়াতি যে হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে পদ বিক্রি হয়েছে এই নির্দেশ সেটাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এর সিবিআই এনকোয়ারি হওয়া দরকার। কারণ নিরপেক্ষ কোনও তদন্ত ছাড়া সত্য উদঘাটন হবে না। যারা দোষী তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও হবে না। একইসঙ্গে যারা যোগ্য তারাও অহেতুক কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদালতের আজকের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময় উপযোগী।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বলেন, “বিরাট একটা জালিয়াতি যে হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে পদ বিক্রি হয়েছে এই নির্দেশ সেটাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এর সিবিআই এনকোয়ারি হওয়া দরকার। কারণ নিরপেক্ষ কোনও তদন্ত ছাড়া সত্য উদঘাটন হবে না। যারা দোষী তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও হবে না। একইসঙ্গে যারা যোগ্য তারাও অহেতুক কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদালতের আজকের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময় উপযোগী।”
Be the first to comment