বেনজির! গ্রুপ ডি পদে ২৮২০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Spread the love

নবম-দশমের পর এবার গ্রুপ ডি পদের নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ ডি, চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ৩ হাজার । ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি হওয়ায় আগামিকালের মধ্যেই ২৮২০জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মূল্যায়নকারী সংস্থার সঙ্গে সার্ভারে থাকা নম্বরের মিল নেই, কোর্টে জানিয়েছে কমিশন। এরপরই ২৮২০জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতির নির্দেশ, যারা কারচুপি করেছে তাদের প্রত্যেকের চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। এদের তালিকা ফের নতুন করে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নোটিশ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এরই পাশাপাশি, ৬ হাজার ৯৮৮ জন অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা থেকে ওই শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। অপেক্ষমান তালিকায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারও ওএমআর শিটে যদি পরবর্তী সময়ে বিকৃতি পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘দেখা যাক, কার অদৃশ্য হাত আছে এসবের পিছনে।’এই গ্রুপ ডি ওএমআর শিট কারচুপি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ওএমআর শিট কারচুপির কথা। সিবিআই গোয়েন্দারা গাজিয়াবাদ থেকে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছেন। সিবিআই যে ওএমআর শিটগুলি দিয়েছে, সেই সবগুলি পরীক্ষা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিন এসএসসির তরফে আদালতে জানানো হয়, প্রায় সাড়ে চার হাজার ওএমআর শিটের মধ্যে ২ হাজার ৮১৯টি ওএমআর শিটে গরমিল হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। সেই কথা জানার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এসএসসিকে বলেন, ‘যদি আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পান কোনও কারচুপি করা হয়েছে, তাহলে পদক্ষেপ করতেই হবে। অনেক সময় দিয়েছি। এবার তারা এই আদালতে আসতে বাধ্য । কিছুদিন জেলে থাকার ব্যবস্থা করব।’

যেহেতু এসএসসি শুধুমাত্র নিয়োগের সুপারিশ করে, তাই আগামিকাল দুপুর ১২ টার মধ্যে সেই চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মধ্য শিক্ষা পর্ষদকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সেই নিয়োগ বাতিল করা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*