অবশেষে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটারসিন বি থেকে কর তুলে নিল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেয় জিএসটি কাউন্সিল। করোনা যুদ্ধে প্রয়োজনীয় পালস অক্সিমিটার থেকে শুরু করে অক্সিজেন, সব সামগ্রীতেই করের বোঝা কম করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই নিয়ম অত্যন্ত দ্রুত কার্যকরী হবে। তার জন্য একদিনের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি বলে জানিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। পরবর্তীকালে মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রতি ত্রৈমাসিক শেষে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল বৈঠক। দ্রুত বৈঠক আয়োজন করার জন্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও গতমাসেই চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এরপরই গত ২৮ মে করোনাকালে প্রথমবার বৈঠকে বসে জিএসটি কাউন্সিল। গত বৈঠকেই কোভিড ভ্যাকসিন, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, করোনা পরীক্ষার কিট, মেডিক্য়াল গ্রেড অক্সিজেন, স্যানিটাইজার, মাস্ক সহ একাধিক সামগ্রীর উপর জিএসটি শুল্কে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই মতো একাধিক করোনা যুদ্ধের সামগ্রীকে কর মুকুব করল জিএসটি কাউন্সিল।
এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ সরকারি আধিকারিকেরা। পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব সহ একাধিক অ-বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক ছাড়ের দাবি জানিয়েছিল। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেবল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাম্ফোটেরিন-বি আমদানির উপর করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
তবে করোনা প্রতিষেধকে জিএসটি হার পাঁচ শতাংশ থাকবে বলেই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেহেতু কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যের হাতে তুলে দেবে তাই জিএসটির টাকা দেবে কেন্দ্র। কিন্তু জিএসটির আয়ের অংশ রাজ্যের হাতে তুলে দেবে কেন্দ্র। এ দিনের বৈঠকে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, পালস মিটার-সহ একাধিক সামগ্রী থেকে কর কমিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল।
Be the first to comment