প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট সফরের মধ্যেই ভেঙে পড়ল ব্রিজ। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীতে কেবল ব্রিজ ভেঙে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমভাবে সাহায্য করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শোকপ্রকাশ করেন এই ঘটনায়। রাজ্য সরকারের তরফে নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে সহায়তা ঘোষণা করা হয়। আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, টুইটে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মরবির এই ঝুলন্ত সেতুটি ১৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬৫ ফুট। ১৮৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের গভর্নর রিচার্ড টেম্পল ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। ১৮৮০ সালে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় এই সেতু তৈরির যাবতীয় উপকরণ ইংল্যান্ড থেকেই আমদানি করা হয়েছিল।
মরবির এই কেবল ব্রিজ বহু বছর আগে তৈরি। মেরামতের জন্য বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে ২৬ অক্টোবর সেতুটি চালু করা হয়।
এদিন ছটপুজো উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল গুজরাটে। তাই সেতুতে অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অন্তত ৫০০ লোক নিয়ে সেতু ছিঁড়ে জলে পড়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সেতু ভেঙে মাচ্ছু নদীতে পড়ে যান অনেকে। কেউ সাঁতার কেটে প্রাণরক্ষা করার চেষ্টা করছেন, কেই ঝুলন্ত ব্রিজের দড়ি ধরে ঝুলে রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
রবিবার সন্ধেয় সেই সময় ব্রিজের উপর ৪০০-এরও মানুষ ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ব্রিজ ভেঙে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নদীতে পড়ে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নদীতে বেশ কয়েকজনের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন ব্রিজের কেবল ধরে বাঁচার চেষ্টা করেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সেই ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে অ্যাম্বুলেন্সও।
Be the first to comment