শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিহারের শ্রমিক, খেসারত দিতে হচ্ছে গুজরাটে বসবাসকারী বহিরাগতদের

Spread the love
কোনওরকমে প্রাণটা নিয়ে পালাতে মরিয়া গুজরাটে আসা বহিরাগত শ্রমিকরা। বাসে উপচে পরা ভিড়, তবুও কেউ পরবর্তী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নন। ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বিহারের শ্রমিক। সেই খেসারত দিতে হচ্ছে গুজরাটে বসবাসকারী বহিরাগতদের, যারা গত কয়েক বছর ধরেই গুজরাটের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজ করছেন। এরা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রদেশ,উত্তরপ্রদেশ,বিহার থেকে এসেছেন।
নির্যাতিতা শিশু ঠাকুর সম্প্রদায়ের, তাই রাজ্যের ঠাকুর সেনারা ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের গুজরাটে টিকতে দিচ্ছে না। পুলিশ, প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে চলছে হামলা, অত্যাচার। পুলিশের অভিযোগ, গত কয়েকদিনে প্রায় ৫০০ এফআইআর হয়েছে, ২০০-র বেশি ঠাকুর সেনার কর্মী গ্রেফতার হয়েছে, তাতেও আগুন নিভছে না।গুজরাটের অন্দরে ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কোথাও ভাড়া বাড়ির মালিক তাদের চলে যেতে বলছেন, কোথাও আবার ঠাকুর সেনার লোকেরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কারখানা থেকে বহিরাগত শ্রমিকদের বরখাস্ত করার ঘটনাও সামনে আসছে।
প্রতিদিনই আমেদাবাদের চাণক্যপুরি ফ্লাইওভারে ভিড় জমাচ্ছে ভিন রাজ্যের শ্রমিক পরিবার। ৩০-৪০ জনের যাত্রীবাসে উঠে পড়ছেন ৮০-৯০ জন। বাসের ছাদও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। ৩০-৪০ ঘণ্টার পথ এভাবেই দাঁড়িয়ে, কোনওরকমে বসে বা বাসের ছাদে উঠে পার হচ্ছেন। এইভাবেই পেটের টান ভুলে প্রাণ বাঁচাতে রাতারাতি গুজরাট ছাড়ছেন কয়েকশো শ্রমিক।
এই পরিস্থিতির জন্য ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল সাইটগুলিকে দায়ি করছে পুলিশ।তাদের দাবি, ফেসবুকে ধর্ষণের প্রতিবাদ এতটাই তীব্র যে, বহিরাগতদের উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। তাই বিপুল সমর্থন পেয়েই ঠাকুর সেনাদের তাণ্ডব চলছে।অবশ্য, কোনওরকম যাচাই না করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের কাজে নেওয়ার বিষয়েও প্রশ্নের মুখে পড়ছে প্রশাসন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*